Close

‘অগ্নিশিখা’ আসতে চলেছে সান বাংলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি:পুরুলিয়ার এক প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামের মেয়ে শিখা। উচ্চ মাধ্যমিকে জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে। স্বাধীনচেতা মেয়েটি স্থানীয় মানুষদের প্রতিনিধি। সারাক্ষণ স্বপ্ন দেখে, সরকারি চাকরি করে গ্রামের উন্নতি করবে। এই মেয়ের জীবনে আসে বিদেশের উচ্চশিক্ষিত বিক্রম। বিক্রমের বাবার ইচ্ছে, এই গ্রামে রিসর্ট খুলে ব্যবসা করবেন। গ্রামের মানুষদের বশ করতে প্রথমেই তিনি হাসপাতাল তৈরির কথা ঘোষণা করেন। সংবর্ধনা সভায় শিখা বিক্রমকে মালা পরিয়ে বরণ করে নিতেই বিক্রম সৌজন্য দেখিয়ে নিজের গলার মালা পরিয়ে দেয় শিখার গলায়। আদিবাসী সমাজে যা বিয়ের নামান্তর। বিক্রম এবং তার পরিবার কি মেনে নেবে এই সম্পর্ক?

আউটডোরে টানা ২০ দিন ধরে চলছে ‘অগ্নিশিখা’র শুটিং।’অগ্নিশিখা’ আসতে চলছে সান বাংলায়

ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং চিত্রনাট্যকার সন্দীপ চৌধুরী, ‘‘অন্দরমহলের কূটকচালি নয়, আদিবাসী মেয়ের যাপিত জীবন, সংগ্রাম এই ধারাবাহিকের মূল কথা। ‘অগ্নিশিখা’ একদম আনকোরা। এখনও আদিবাসী গ্রামে, সেখানকার অধিবাসীদের চোখে শহরের মানুষেরা দেবতা সমান। তারা যখন শহরবাসীর আসল রূপ দেখতে পায় তখন কী অবস্থা হয় তাদের? এই দিকটাই তুলে ধরবে নতুন ধারাবাহিক’’

সৌর্য, “অগ্নিশিখা আমার কাছে এক স্বপ্ন সত্যি হওয়া রূপকথার মতো! অনেক অনেক কিছু শিখতে পারছি প্রতিনিয়ত। সবার সহযোগিতায় মহানন্দে কাজ চলছে! প্রতিটি মুহূর্তই প্রাণপনে উৎযাপন করছি!”

আরাত্রিকা মাইতি, “নতুন চ্যালেঞ্জ আমার কাছে। এর আগে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছি। নায়িকা এবং আদিবাসী মেয়ের চরিত্রে এই প্রথম। ওয়র্কশপ হলেও তখনও সংলাপ হাতে না পাওয়ায় রিহার্স করতে পারিনি। ফলে, বাড়িতে সমানে অভ্যাস করতাম। মা-বাবার সঙ্গেও সারাক্ষণ ওই ভাষাতেই কথা বলেছি।’’

অংশুমান প্রত্যুষের, ৫ বছর পরে ফের ধারাবাহিক পরিচালনায় তিনি। অংশুমানের কথায়, বিনোদন সব মাধ্যমেই সমান। বাড়তি আগ্রহ জন্মেছে গল্প শোনার পর। তখনই ঠিক করেন, এ বার বড় পর্দার ফ্লেভার ছোট পর্দায় ছড়িয়ে দেবেন।

প্রযোজক ফিরদৌসাল হাসান, “ছবির ক্ষেত্রে আমি বরাবর এক্সপেরিমেন্ট করে এসছি। রিস্ক নিয়েছি। এখন মানুষের আগ্রহ ধারাবাহিকে সেই জায়গা থেকে এই প্রথম ধারাবাহিকের কাজে হাত দিলাম। খুব বড় স্কেলে কাজ হচ্ছে, আশা করি মানুষের পছন্দ হবে।”
ধারাবাহিকে দেখা যাবে সাগ্নিক, অনিন্দ্য বাগচির মতো অভিনেতাদেরও। পুরুলিয়ায় শ্যুট শেষ হলেই টিম ‘অগ্নিশিখা’ শ্যুট শুরু করবেন কলকাতায় ভরতলক্ষ্মী স্টুডিয়োয়। সান বাংলায় ধারাবাহিকটি দেখানো শুরু হবে নতুন বছরের মাঝামাঝি সময়ে।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top