![](https://i0.wp.com/www.anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2020/07/IMG-20200714-WA0001-1024x550.jpg?resize=1024%2C550)
আনন্দ সংবাদ লাইভ :অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস-এর পক্ষ থেকে এই প্রথমবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হোলো Men’s Cell, এবং এই বিভাগের সভাপতি হলেন তুহিন ভট্টাচার্য্য। কার্য্যকারী সভাপতির পদে নিযুক্ত হলেন পদ্মিনী দত্ত শর্মা।এই নামটি নতুন করে কোনো পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেনা; ইনি একজন বলিষ্ঠ লেখিকা , চিত্রপরিচালক এবং সমাজসেবী যিনি বহু বই সমাজকে উপহার দিয়েছেন, ভেঙে যাওয়া মানুষের মন এবং ভেঙে পড়া মানুষদের নিজের বলিষ্ঠ মতামতের মাধ্যমে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন।
অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস-এর একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য নাম – Women’s cell এর সভাপতি শ্রীমতি সুজাতা ভট্টাচার্য।
আজ বহু বছর ধরে যিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিস্বার্থে, র্নিধ্বিদায়। এই সংকটের সময়. যখন সারা বিশ্বের বেশীর ভাগ মানুষ, শুধু নিজের সুবিধে আর নিরাপত্তা নিয়ে ভেবে চলেছে, সুজাতা দেবী কিন্তু কিছুর তোয়াক্কা না করেই চলে যাচ্ছেন কখনো সোনাগাছীতে যৌনোকর্মীদের রেশন নিয়ে, তো কখনো সুদুর সুন্দরবনে। নানান প্রকল্প নিয়ে ওনি সব সময় আছেন মানুষের পাশে, মানুষের সেবায়। ওনার একটাই কথা ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’, তাই কোনো রকম বৈশম্য না করেই ওনি সবার জন্য লড়াই করে চলেছেন, কোনো যশ বা খ্যতির প্রতাশা না করেই।
পদ্মিনী দত্ত শর্মার কাছে যখন প্রশ্ন রাখা হয় ‘আপনি একজন নারী হয়েও কেন পুরুষের অধিকারের পক্ষে?’
তিনি স্বহাস্যে জানান , ‘একজন প্রকৃত নারী তো তখনই হয়ে ওটা সম্ভব যখন সেই নারীর মমত্ববোধ এবং চেতনাবোধ নিরপেক্ষ ভাবে সমাজে প্রতিফলন হয় ৷ নিজ লিঙ্গের অন্যায়কে মেনে নিলে তো রামোহন রায় বা বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীদের আমরা মনে রাখতাম না ৷তাই লিঙ্গভেদে নয় , মানবিক তাগিদেই আমার এগিয়ে আসা একাজে।’
তুহিন ভট্টাচার্য্য র্দীঘদিন যাবৎ নিপীড়িত পুরুষদের নিয়ে কাজ করে এসেছেন দক্ষতার সাথে ৷ তিনি বলেন, ‘একজন পুরুষের নামের পাশে খুব সহজেই যুক্ত করা হয়, “যে রক্ষক, সেই ভক্ষক”; কিন্তু একজন পুরুষের ক্ষেত্রে একটা কথা আমরা কখনই ভাবতে পারিনা যে, “যে সহায়, সেও অসহায়” হতে পারে ৷’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে প্রতিটা জীবের বাঁচার অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে- এই একটাই ব্রত হওয়া উচিৎ সমগ্র মানজাতির।
নারীদের সুরক্ষায়,নারী সুরক্ষা আইন; পরিবেশের সুরক্ষায়, পরিবেশ সুরক্ষা আইন; এমনকি পশুদের জীবন সুরক্ষিত করতে পশু সুরক্ষা আইন ও প্রবর্তিত, অথচ পুরুষের সুরক্ষার জন্য কিছুই নেই।
সমাজের কাছে চরম সুখের বিষয় হোলো, এই তিনটি সমাজ সচেতন দৃঢ়চেতা মানুষ একসাথে সমাজের স্বার্থে, বিশেষ করে নিপীড়িত মানুষদের পাশে থাকার কাজে ব্রতী হয়েছেন, যেখানে পুরুষ ও নারী তাদের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার কথা বলতে পারবেন নির্ধিদ্বায়, প্রতেকে পাবে তাদের রক্তক্ষরণের মর্য্যাদা, পেশী ও স্নায়ুতন্ত্র বিকাশের যথার্থতা, শিক্ষণীয় বাস্তবচেতনা, সুরক্ষিত মূল্যবোধ এবং সর্বোপরি মানবতা।