আনন্দ সংবাদ লাইভ:আজ ১৫ই অক্টোবর মাণিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছরও অন্যতম প্রথম উদ্বোধনের মধ্যে ছিল চালতাবাগানের দুর্গাপূজা। এই বছর করোনা অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অনলাইন উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্মিতা বক্সী, শিল্পপতি হরিমোহন বাঙ্গুর, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পরিচালক-অভিনেতা অরিন্দম শীল সহ আরও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
“এইবছরও মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুজা উদ্বোধন করবেন সেইকারণে যারপরনাই আমরা খুবই উচ্ছসিত এবং গর্বিত। মহামারীর কারণে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আমরা যথেষ্ট যত্নবান। মাণিকতলা চালতাবাগান দুর্গাপূজা কমিটি ইতিমধ্যেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে, যাতে সামাজিক দূরত্ব ও যাবতীয় স্বস্থ্যবিধি বজায় রেখে নিরাপদভাবে দর্শনার্থীরা প্রতিমাদর্শন করতে পারেন” জানালেন মাণিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গাপূজা কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী সন্দীপ ভূতোড়িয়া।
করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে যে আতঙ্কের আবহ তৈরী হয়েছে তার ফলে এইবছর দুর্গাপূজা ও যাবতীয় উৎসবে তার কুপ্রভাব পড়েছে। আবার অন্যদিকে ইতিবাচকভাবে আধ্যাত্মিকতার ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে একইসঙ্গে। চালতাবাগানের পূজার থিম ভাবনা ও রূপায়ণে প্রতিবছরই থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এছাড়াও এই পুজোর বিশেষত্ব হল পুজা কমিটি বিভিন্ন ধরণের সমাজকল্যানমূলক কাজের মধ্যে যুক্ত থাকে। দুঃস্থ দরিদ্রদের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।
বিগত ৭০ বছর ধরে মাণিকতলা চালতাবাগান কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন লক্ষ্মীচাঁদ জয়সওয়াল। তাঁর প্রয়াণের কারণে এইবছর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শ্রী অশোক জয়সওয়াল। তিনিই এবছর পুজার যাবতীয় পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। ১৯৪৩ সালে শুরু হয় এই দুর্গাপূজো। শিল্পরুচি সমৃদ্ধ, অভিনব, পরিবেশ বান্ধব থিম পরিকল্পনার মাধ্যমে চালতাবাগান লোহাপট্টির পুজা স্বকীয় পরিচিতি ও বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।