Close

নাইরোবিতে বঙ্গকন্যার ভিন্ন স্বাদে দূর্গোৎসব পালন, কান্ট্রি ক্লাবে অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি:অনন্যা পাল, প্রতি বছর চেষ্টা করেন নিজের মত করে তাঁর টিম নিয়ে নাইরোবিতে সাংস্কৃতিক ভাবে শারদিয়া উৎসব পালন করতে, যেখানে অংশগ্রহনকারীরা সর্বভারতীয়। এবারের উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে ইউনেস্কো দূর্গাপূজাকে তালিকাভুক্ত করার ফলে। এই বছর অনন্যা একটি নৃত্যনাট্য ‘দ্য ইথারাল সাগা’ প্রস্তুত করেছিলেন যার কাহিনী কবি জয়দেব ও পদ্মাবতীর প্রেমগাথা ও গীতগোবিন্দ রচনার প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছিল। অনষ্ঠানটি সম্প্রতি মঞ্চস্থ হলো মুথাইগা কান্ট্রি ক্লাবে।

এই ক্লাবটি নাইরোবির সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব, যেখানে দর্শকও পুরোপুরি আন্তর্জাতিক। অনুষ্ঠানের কলা কুশলিরাও বহুজাতিক। এই নৃত্যনাট্যটির রচনা ও পরিচালনায় অনন্যা পাল, শ্রেষ্ঠাংশে কৃষ্ণ কিসলে ও সুষমা রেড্ডী। ভাষ্যপাঠে জেমস মুহিয়া (কেনিয়া) ও জননী রাজসেকরন (শ্রীলঙ্কা)।
এছাড়া, ‘আগমনী – দ্য ডিভাইন অ্যারাইভাল’ নামের একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান ও তৈরি করেছিলেন অনন্যা, যেটি মহালয়ার দিন প্রচারিত হলো তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

অনুষ্ঠানটির বড় সম্পদ তার গান, যার সুর দিয়েছেন ও গেয়েছেন মুম্বাইবাসী সুরকার ও গায়ক আশীষ চক্রবর্তী। এখানে গীতগোবিন্দের পদকে সেমি ক্লাসিক্যাল আঙ্গিকে গাওয়া হয়েছে, যা শ্রুতিমধুর ও সহজবোধ্য। প্রধান চরিত্রগুলিতে ছিলেন জয়দেবের ভূমিকায় কৃষ্ণ কিসলে ও পদ্মাবতীর ভূমিকায় শ্রদ্ধেয়া ভারতনাট্যম গুরু শ্রীমতী সুষমা রেড্ডি। অনুষ্ঠানের নৃত্য পরিচালনাও সুষমা রেড্ডির। দুটি শিশু শিল্পী, যারা সুষমার ছাত্রী, অনশিতা গর্গ ও ভাইগা গিরিশ যথাক্রমে কৃষ্ণ ও রাধার ভূমিকায় নৃত্য পরিবেশন করেছে। ভাষ্যপাঠে অংশ নিয়েছিলেন জননী রাজসেকরন (শ্রীলঙ্কা) ও জেমস মুহিয়া (কেনিয়া)। নেপথ্যকন্ঠে ছিলেন অনন্যা পাল। অনুষ্ঠানের প্রোডাকশন ম্যানেজার ইন্দিরা সুন্দররমন ও তাঁর সহকারী রাখী কিসলে।

অনন্যা পাল বললেন,” আমি দেশের বাইরে থাকলেও নিজেদের সংস্কৃতি চর্চা থেকে বিরত থাকিনা। এবার আবার ইউনেস্কো এর এই বিশেষ সম্মান দুর্গা পুজোর ঐতিহ্যকে আপামর বাঙালি তথা ভারতীয়দের গর্বের বিষয়। তাই যে দেশেই থাকিনা কেন মনে হলো এই বিশেষ প্রাপ্তিকে উদযাপন করা উচিৎ।কেনিয়াতে থেকেই তাই নিজেদের মতো করে উৎসবে অংশগ্রহণ করলাম।”

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top