নিজস্ব প্রতিনিধি:কোভিডের মহামারিতে কম্পিউটারের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে গেছে। স্কুলের পড়াশোনা থেকে অফিসের কাজকর্ম সবই অনলাইন নির্ভর হয়েছে। টানা কম্পিউটারের কাজ করতে করতে চোখের ওপর চাপ বাড়ছে। বাচ্চা থেকে মাঝবয়সী অনেকেরই কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোমে ভুগছেন। এর হাত থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেন চক্ষু চিকিৎসকরা। সম্প্রতি টালিগঞ্জ আইএমএ-র ২৭ তম বার্ষিক সম্মেলনে এই নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা হয়। চোখের সমস্যার পাশাপাশি স্ত্রী রোগ, ক্যানসার, প্যাথলজি, শিশুদের সমস্যা, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা সহ নানান ধরণের প্রায় ২০টিরও বেশি অসুখের নানান জটিলতা ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা নিয়ে আইএমএ-র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ আলোচনা করেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েশনের ২৭ তম বার্ষিক সম্মেলন টলিকন ২০২২ এর অরগানাইজিং সেক্রেটারি ডা শঙ্কর সেনগুপ্ত জানালেন যে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম টালিগঞ্জ আইএমএ –র সদস্য সংখ্যা ৩৭৫ জন। সংগঠনের ২৯ তম বছরে ২৭ তম ২ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আইএমএর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি, রাজ্য শাখার সেক্রেটারি ডা শান্তনু সেন। প্রধান অতিথি আইএমএ বেঙ্গল স্টেট ব্রাঞ্চের সভাপতি ডা এম এ কাশেম, বিশেষ অতিথি স্বামী আত্মপ্রিয়নন্দজি মহারাজ, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহ আচার্য্য। আইএমএ টালিগঞ্জের বার্ষিক সম্মেলনের অরগানাইজিং প্রেসিডেন্ট ডা সিদ্ধার্থ বসু অতিথিদের স্বাগত জানান। উপস্থিত ছিলেন রিসেপশন কমিটির চেয়ারপার্সন ডা রীনা ঘোষ ্সহ বহু বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ। ডা শঙ্কর সেনগুপ্ত জানালেন কোভিড মহামারিতে চিকিৎসকদের অগ্রণী ভূমিকায় থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণীর মানুষ রোগীর মৃত্যুর কারণে এখনও তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত কর্কশ ব্যবহারে এমনকি ভাংচুর মারধরের মত অত্যন্ত ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি তৈরি করছেন। আইএমএ টালিগঞ্জ শাখা চিকিৎসকদের সাহায্যার্থে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছেন, যেকোনও খারাপ পরিস্থিতিতে এই চিকিৎসক সংগঠন পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েছেন।