Close

কাশীপুর সেবা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও সর্নিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গণবিবাহ

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছর আগের কথা। এই বাংলায় গণ বিবাহের প্রচলন শুরু চৈতন্যদেবের ভাবনায়। শারীরিক অক্ষম, সুন্দরী নয়, স্বামী পরিত্যক্তা, বিবাহ বিচ্ছিন্না মেয়েদের বৈষ্ণব করণ করে মালদহের রামকেলি মেলায় কঠোর নিয়মের মধ্য জীবন সঙ্গী খুঁজে দিতে সাহায্য করেছিলেন চৈতন্যদেব । সেযুগেও মেয়ের বাপকে কন্যাপণ নূন্যতম দিতে হতো ৫০ টাকা। পুরুতের দক্ষিণা কমপক্ষে ১ টাকা থেকে ৬ টাকা। নাপিতকে দিতে হতো ১ টাকা থেকে ৪ টাকা। সেখানে কনের পিতার রোজগার হয়ত বছরে ছিল ২ থেকে ৪ টাকা। সুতরাং সেই দীনদয়ালদের বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত করে চৈতন্যদেব সমাজ সংস্কার করেছিলেন । গণ বিবাহের আয়োজন করে।

 বিশ্বে এমন গণ বিবাহের আয়োজন তেমন ছিল না। ইদানিং কিছু সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিশ্বের ইতিহাস বলছে, গ্রীক বীর আলেকজান্ডার ইরানে সুসা রাজ্যে ৩২৪  খ্রিস্ট পূর্বে পাঁচদিন ধরে ৯১ জোড়া নারী পুরুষের বিয়ে দেন। সুসা রাজা দারিউস ও আর্তা জেরাসের দুই কন্যাকেও নিজে বিবাহ করেন। তখন কিন্তু রক্সেন নামে আলেকজান্ডারের এক গ্রীক স্ত্রীও ছিলেন।  গণ বিবাহের আয়োজনের সেই ট্র্যাডিশন হয়ত সমানে চলছে। এখন এরাজ্যে মূলত রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু সমাজসেবী সংগঠন নিজেদের সাধ্যমত গণ বিবাহের আয়োজন করেন।



   এমনই দুই সংগঠন উত্তর কলকাতার কাশীপুর সেবা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও  সর্নিম ফাউন্ডেশন। রাজ্য সরকার অনুমোদিত এই দুই সংগঠনের তরফে কাশীপুর অঞ্চলে তিন কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রীতিমত ব্যান্ডপার্টির শোভাযাত্রায় সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে তিন বর এলেন বিয়ে করতে । বিবাহ মণ্ডপে  প্রতীক্ষারত তিন কন্যার চোখে তখন লাজুক দৃষ্টি। মঞ্চে ছিলেন কলকাতার উপপ্রধান নাগরিক অতীন ঘোষ ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সমাজসেবী ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি।এলেন রাজ্যের নারী ও শিশু বিকাশ দফতর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী ডা: শশী পাঁজা।ছিলেন হুগলির বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌতম মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় পুর মাতা সুমন সিং প্রমুখ। 

  অন্যান্যদের মধ্যে এই গণবিবাহ অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সম্বর্ধিত হন - নবরতন ঝাওয়ার, আশীষ নন্দী, প্রদীপকুমার দে, শঙ্কর সিং, জয়প্রকাশ সিং, কালীপদ যাদব, দেবদাস চৌধুরী, রাখী মণ্ডল, খুশবু সিং, মঞ্জু নন্দী, স্বপন দত্ত প্রমুখ। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এই তিন কন্যা বিবাহ অনুষ্ঠানের যিনি প্রাণপুরুষ সেই প্রদীপ দে ওরফে স্থানীয় মানুষ যাঁকে বাবুন নামে চেনেন, তিনি বলেন, রীতিমত  থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত রক্ত পরীক্ষা ইতিবাচক  হওয়ায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।সমাজের কাছেও আমাদের বার্তা, একটি বিবাহের আয়োজনে সবকিছুর সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করাটাও আবশ্যিক করে নিন। দম্পতি ও তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যা সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব হবে। বিবাহে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্যও ছিল ঢালাও ভুরিভোজ।
 বিশ্বে এমন গণ বিবাহের আয়োজন তেমন ছিল না। ইদানিং কিছু সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিশ্বের ইতিহাস বলছে, গ্রীক বীর আলেকজান্ডার ইরানে সুসা রাজ্যে ৩২৪  খ্রিস্ট পূর্বে পাঁচদিন ধরে ৯১ জোড়া নারী পুরুষের বিয়ে দেন। সুসা রাজা দারিউস ও আর্তা জেরাসের দুই কন্যাকেও নিজে বিবাহ করেন। তখন কিন্তু রক্সেন নামে আলেকজান্ডারের এক গ্রীক স্ত্রীও ছিলেন।  গণ বিবাহের আয়োজনের সেই ট্র্যাডিশন হয়ত সমানে চলছে। এখন এরাজ্যে মূলত রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু সমাজসেবী সংগঠন নিজেদের সাধ্যমত গণ বিবাহের আয়োজন করেন।


   এমনই দুই সংগঠন উত্তর কলকাতার কাশীপুর সেবা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও  সর্নিম ফাউন্ডেশন। রাজ্য সরকার অনুমোদিত এই দুই সংগঠনের তরফে কাশীপুর অঞ্চলে তিন কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রীতিমত ব্যান্ডপার্টির শোভাযাত্রায় সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে তিন বর এলেন বিয়ে করতে । বিবাহ মণ্ডপে  প্রতীক্ষারত তিন কন্যার চোখে তখন লাজুক দৃষ্টি। মঞ্চে ছিলেন কলকাতার উপপ্রধান নাগরিক অতীন ঘোষ ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সমাজসেবী ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি।এলেন রাজ্যের নারী ও শিশু বিকাশ দফতর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী ডা: শশী পাঁজা।ছিলেন হুগলির বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌতম মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় পুর মাতা সুমন সিং প্রমুখ। 

  অন্যান্যদের মধ্যে এই গণবিবাহ অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সম্বর্ধিত হন - নবরতন ঝাওয়ার, আশীষ নন্দী, প্রদীপকুমার দে, শঙ্কর সিং, জয়প্রকাশ সিং, কালীপদ যাদব, দেবদাস চৌধুরী, রাখী মণ্ডল, খুশবু সিং, মঞ্জু নন্দী, স্বপন দত্ত প্রমুখ। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এই তিন কন্যা বিবাহ অনুষ্ঠানের যিনি প্রাণপুরুষ সেই প্রদীপ দে ওরফে স্থানীয় মানুষ যাঁকে বাবুন নামে চেনেন, তিনি বলেন, রীতিমত  থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত রক্ত পরীক্ষা ইতিবাচক  হওয়ায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।সমাজের কাছেও আমাদের বার্তা, একটি বিবাহের আয়োজনে সবকিছুর সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করাটাও আবশ্যিক করে নিন। দম্পতি ও তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যা সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব হবে। বিবাহে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্যও ছিল ঢালাও ভুরিভোজ।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top