নিজস্ব প্রতিনিধি:গত ২৪ শে অক্টোবর কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী প্রেক্ষাগৃহ আই.সি.সি.আর সাক্ষী থাকলো এক অনবদ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। অতিমারির দুই বছরে, বন্ধ দেওয়ালের মধ্য থেকে বেরিয়ে এটিই কলকাতার সবথেকে বড় অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, কলকাতা নৃত্য উৎসব এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের একসাথে এক মঞ্চে জায়গা করে শিল্প-সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া, আর তার সাথে সাথে নানান রকম নৃত্যশৈলী পরিবেশন করা; এক সন্ধ্যায় প্রচুর শৈলী।
উল্লেখ্য যে যে নৃত্যশৈলী গুলি পরিবেশিত হল তা হল কথক, মোহিনীঅট্টম, ক্রিয়েটিভ ডান্স, ভরতনাট্যম, কথাকলি, কুচিপুড়ি ও গুজরাটি ফোক, সেমি ক্লাসিক্যাল ও কনটেম্পোরারি তো ছিলই।
অনুষ্ঠানের সূচনায় পরিচালক নিজে, সূচনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী নৃত্যনাট্য দ্বারা – টুসি নস্কর, সন্দীপন মন্ডল ও টিম।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি কে সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছেন যে যে প্রবীণ শিল্পী তারা হলেন, মোহিনীঅট্টম শিল্পী শ্রীমতি মোহনা আইয়ার, কথক বিশারদ সায়নী চাওড়া, সঞ্চারি ব্যানার্জি, প্রদীপ্তা ব্যানার্জি, বিধুশ্রী ব্যানার্জি, ইউনিকর্ন ডান্স কোম্পানি, অভিষিক্তা মৈত্র, শ্রুতি পারফর্মিং আর্টস প্রমূখ।
পুরো অনুষ্ঠানটির নেতৃত্বে ছিলেন সন্দীপন মন্ডল, আহি নস্কর, অলঙ্কৃতা সর্দার ও তাদের টিম।
মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৃত্য বিশারদ সায়নী চাওড়া ; নৃত্যশিল্পী ও রূপসজ্জা বিশেষজ্ঞ তাপস মন্ডল।
এছাড়াও ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক পার্থসারথী জোয়ারদার, এন জি ও সন্তোষপুর আগন্তুক এর মুখ্য সচিব অরিজিৎ মুখার্জি, এনজিওর মুখপাত্র সায়নজিৎ ঘোষ প্রমুখ।
এই গোটা অনুষ্ঠানটির সংগঠনায় সহযোগিতা করেছেন তিমির বরণ সাহা।