By Ramiz Ali Ahmed
ন’ য়ের দশকের শেষদিকে যে সকল বাঙালি দর্শক সিনেমা হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, সেই সকল দর্শকদের ঋতুপর্ণ ঘোষ দাঁড় করিয়ে ছিলেন নন্দনের বাইরে লম্বা লাইনে। ঋতুপর্ণ নিটোল গল্প নিয়ে বাংলা সিনেমার এক ধারা তৈরি করে ছিলেন। ২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘উৎসব‘ সিনেমাটি। বনেদি বাড়ির পুজোর গল্প, এটা বলার মতো নতুন কিছু নয় এর আগেও বহু সিনেমা, সিরিয়াল ও উপন্যাস লেখা হয়েছে পুজো বাড়ির প্রেক্ষাপটে।
এটা ২০২০। করোনা ভাইরাসের মহামারীর ভয়ে আমরা সকলেই কমবেশি ঘরবন্দী। মুক্তির অপেক্ষায় সবাই ছটফট করছি। সিনেমা, থিয়েটার সহ সব ধরণের বিনোদন বন্ধ হয়ে আছে। আদৌ দুর্গোৎসবে ঠাকুর দেখা হবে কিনা এই মুহূর্তে কারও পক্ষে বলা সম্ভবপর নয়। ঠিক কুড়ি বছর পর প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ কে ট্রিবিউট জানিয়ে এবার পুজোয় আসছে ‘উৎসবের পরে‘। দেখা যাবে আড্ডাটাইমস এর পর্দায়।পরিচালনা করছেন অভিনন্দন দত্ত।
ছবির সংক্ষিপ্ত কাহিনি একটু ছোট্ট করে শুনে নেওয়া যাক।মল্লিক বাড়িতে বছর ছয়েক পর বিদেশ থেকে উৎপল এসেছে তার পরিবার নিয়ে, পুজো বাড়িটা এবার জমজমাট। পুজো মানেই কি শুধু গান বাজনা হৈ হৈ ? কিন্তু, এই মল্লিক বাড়ির অন্দরে লুকিয়ে আছে অনেক গোপন তথ্য, ইতিহাস। কালের নিয়মে যা চাপা পড়ে গিয়েছিল। হটাৎ করে বেরিয়ে পড়ে অন্দর মহলের সেই নিষিদ্ধ প্রেম ও রাজনৈতিক পালা বদলের ইতিহাস। স্বাধীনতা থেকে নকশাল আন্দোলন কিংবা আজকের এই অস্থির সময়, একই ছাদের নিচে সহাবস্থান।
অভিনন্দন দত্তর কাহিনি ও পরিচালনায় আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘উৎসবের পরে‘।
অভিনন্দন বললেন, “কলেজ জীবনে উৎসব সিনেমা দেখার পর ছয় পাতার একটা গল্প লেখা হয়েছিল। যেহেতু গল্প লেখার মূল ভাবনা ছিল ঋতুদার উৎসব সিনেমা, তাই সেই গল্পের রেশ ধরেই এই ওয়েব সিরিজ।”
অভিনয়ে আছেন কৌশিক সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, বিমল চক্রবর্তী, সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়, অবন্তী দত্ত, পারমিতা, ঐশ্বর্য সেন, ঈশানি সেনগুপ্ত, শ্রেয়া ভট্টাচার্য প্রমুখ।
উৎসবের শুরুতেই বোধন হবে ‘উৎসবের পরে’।
সঙ্গীত পরিচালনা করছেন ময়ূখ মৈনাক।দৃশ্যগ্রহনে মৃন্ময় নন্দী। শিল্প নির্দেশনায় বাবলু সিনহা। প্রযোজনায় রোল ক্যামেরা অ্যাকশন। সহকারী প্রযোজনায় ধাগা প্রোডাকশন।