মেগার নাম:বরণ
চরিত্রের নাম:রিনিতা
চ্যানেল:স্টার জলসা
টেলিকাস্ট:প্রতিদিন সন্ধ্যা ৮ টায়
প্রশ্ন:পর্দার সত্তার সঙ্গে ব্যক্তি সত্তার মিল এবং অমিল
সুরভি:রিনিতা আর সুরভি-র প্রচুর মিল আছে।রিনিতা খুব জলি,হাসি খুশি একটা মেয়ে।আমিও তাই।মিলটাই বেশি।
প্রশ্ন:পড়াশুনা ও পরিবার
সুরভি:আমার হোম টাউন শিলিগুড়ি ওখানেই জন্ম,বড় হয়ে ওঠা পড়াশুনো সবকিছু।শিলিগুড়ি হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে থেকে স্কুলিং।তারপর শিলিগুড়ি গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে পড়াশুনা।
প্রশ্ন:অভিনয়ের সুযোগটা কিভাবে এসেছিল?
সুরভি:২০১৫ তে কলেজে পড়ার সময় সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটা জায়গায় মডেলিং- এর অফার আসে।সেটাই আমার কলকাতায় প্রথম কাজ এবং সেই প্রথম কলকাতায় আসা।কলকাতার তখন কিছু চিনি না,পরিচিত লোকজনও নেই। অডিশনের মাধ্যমে মেগায় সুযোগ পেয়েছিলাম।
প্রশ্ন:প্রথম মেগা
সুরভি:’বোঝে না সে বোঝে না’
প্রশ্ন:তারপরের কাজগুলো
সুরভি:এরপর স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রোডাকশন হাউস ব্লুজ-এ অডিশন দি।
স্নেহাশিস স্যার-ই আমার প্রথম বড় চরিত্রে সুযোগ দেন।জি বাংলায় ‘স্ত্রী’ মেগায় সুরভি নামের একটি চরিত্র করি।এরপর স্যারেরই প্রোডাকশনে স্টার জলসায় ‘খোকাবাবু’ মেগায় রুতলীন চরিত্রটা করি।যদিও চরিত্রটা বেশ নেগেটিভ কিন্তু আমাকে খুব জনপ্রিয়তা দেয়।এরপর স্যারের প্রোডাকশনে জি বাংলায় ‘হৃদয়হরণ বি.এ. পাস’-এ সুরভি নামের একটা কমেডি চরিত্রে অভিনয় করি।এরপর সান বাংলায় করি ‘কেশব’।তারপর সান বাংলায় ‘কনে বউ’,ওখানে চন্দ্রানী বলে একটা চরিত্র করেছিলাম । এখন চলছে ‘বরণ’।
প্রশ্ন:বাড়ি থেকে কতটা সাপোর্ট পেয়েছিলেন?
সুরভি:বাবা সরকারী চাকরি করেন।বাবা খুব রক্ষণশীল।বাবা চেয়েছিলেন কোনো সরকারী চাকরি করি।কিন্তু মা,ঠাকুমা সবসময় খুব সাপোর্ট করেছেন।বাবা অবশ্য এখন বেশ খুশি।
প্রশ্ন:পরপর মেগা করে যাচ্ছেন,ছবি করার ইচ্ছে নেই?
সুরভি:ইচ্ছে আছে,সেরকম সুযোগ আসেনি।
প্রশ্ন:প্রেম এবং বিয়ে
সুরভি:এই মুহূর্তে কোনো প্লানিং নেই।এখন শুধু কাজ করতে চাই।বিয়ের প্ল্যানিং এই মুহূর্তে একদমই নেই।এখন কাজটাই আমার প্রিয় মানুষ।কোনো মনের মানুষ খুঁজে পেলে জানাবো।
প্রশ্ন:ফুড হ্যাবিট
সুরভি:খেতে আমি খুব ভালোবাসি। মোমো খেতে খুব ভালোবাসি।
প্রশ্ন:অভিনেত্রী না হলে?
সুরভি:তাহলে ড্রয়িং-এর উপর কিছু করতাম আর সেটাকেই পেশা হিসেবে নিতাম।আমি হাতের কাজও দারুন করি।
প্রশ্ন:ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সুরভি:ক্যারিয়ারের ব্যাপ্তিটা আরো বাড়াতে চাই আরো ভালো ভালো চরিত্রে কাজ করতে চাই।বড় পর্দাতেও কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন:স্বপ্ন
সুরভি:একজন ভালো মানুষ আর একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়া।
প্রশ্ন:আইকন
সুরভি:প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।’কেশব’ করার সময় বুম্বাদা আমাদের সেটে এসেছিলেন।নিজের আইকনের সঙ্গে কথা বলে দারুন আনন্দ পেয়েছিলাম।
প্রশ্ন:বাড়ির কাজ কতটা করেন
সুরভি:সব করতে পারি কিন্তু কিছু করিনা।মা আমার কাছে এলে মা খাইয়ে না দিলে তো খাইনা।
প্রশ্ন:বেড়ানোর প্রিয় জায়গা
সুরভি:পাহাড়।
সাক্ষাৎকার:রামিজ আলি আহমেদ
ছবি:বিশ্বজিত সাহা