Close

সঙ্গীতই পারে মানুষকে পরিবর্তন করতে

✍️By Ramiz Ali Ahmed

সম্প্রতি রোডশো ফিল্মসের আয়োজনে সাউথ সিটির আইনক্সে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং হয়ে গেল।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তথ্যচিত্র নির্মাতা সুপ্রিয় সেন-এর প্রথম ফিচার ফিল্ম।প্রথমেই বলে রাখি এক মুহূর্তের জন্যও তিনি নিরাশা করেননি।ট্যাংরা বস্তিকে তিনি তাঁর প্রথম ছবিতে তুলে ধরলেন।আর মিউজিক যে অ্যান্টিসোস্যালদেরও ও সোশ্যাল করতে পারে তা তিনি তাঁর ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন।সঞ্জীব মন্ডল এই ট্যাংরার বস্তির বাচ্চাদের নিয়ে গানের দল গড়ে তোলেন।ইন্সট্রুমেন্ট বলতে ফেলে দেওয়া ড্রাম, টিন,ঘন্টা, কৌটো,বাক্স,শিশি ইত্যাদি।বড়লোক বাবার আদুরে মেয়ে যার ভালোবাসা মিউজিক ,সেই জয়ীর সাথে পরিচয় হয় এই গানের দলের বাচ্চাদের।সে চায় এই বাচ্চারা লাইমলাইটে আসুক। ঘটনা পরম্পরায় উঠে আসে বস্তির যুবকরা কিভাবে অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত হয়ে যায়।রাজনৈতিক নেতারা কিভাবে তাদেরকে ব্যবহার করে।সেখান থেকে সঞ্জীব মন্ডলের লড়াই ,বাচ্চাদের নিয়ে ভালো পথে যাবার লড়াই।ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।ছবিটা অবশ্যই দেখার ছবি।সুপ্রিয় সেনকে প্রশংসা করতেই হয় প্রথম ছবিতেই এরকম বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ায়।সঞ্জীব মন্ডলের চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে যতই প্রশংসা করা যায় ততই কম।জয়ীর চরিত্রে মধুমিতা সরকার যোগ্য সঙ্গত করেছেন। প্রশংসা করতে হয় চালুর চরিত্রে সামিউল আলমকে।এছাড়া ঋষভ বসু,ঐশানিদের অভিনয়ও যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে।ভালো লাগে রঞ্জন পালিতের ক্যামেরা।
সঙ্গীত এছবির বড় একটা সম্পদ।সঙ্গীত পরিচালক নবারুণ বসুর সঙ্গীত প্রশংসনীয়।
বাংলা ছবির জগতে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’-এর আলাদা একটা জায়গা থেকে যাবে।

Leave a Reply

0 Comments
scroll to top