নিজস্ব প্রতিনিধি:শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স এর নিবেদনে এবং ইন্ডিয়ান আর্ট গ্যালারি এর আয়োজনে “কলকাতা আর্ট ফেয়ার” এর দ্বিতীয় পর্ব আগামী ১৫ মে (বিকেল ৫টা উদ্বোধন) থেকে ১৮মে (দুপুর ২ থেকে রাত ৮টা) আইসিসিআর কলকাতায় হতে চলেছে।নানা গ্যালারি জুড়ে আর্টের পসরা সাজিয়ে বসবেন দেশ-বিদেশের নানা শিল্পী।এবছর প্রায় ৪৫০ শিল্পীর ১০০০এর কাছাকাছি আঁকা প্রদর্শিত হবে।উদ্যোগের নেপথ্যে মূল কারণ উদীয়মান শিল্পীদের তাঁদের শিল্পের প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রির একটা ব্যাবস্থা করা।আজকাল খুব বড় শিল্পীর আর্ট যতটা সহজে বাজার পায়, অনেক গুণী শিল্পী সেই বাজার থেকে দূরেই থাকেন।
এই বিশেষ আয়োজনে শিল্পের নানা আঙ্গিক থাকছে আঁকা ছবির নানা মাধ্যমের সাথে থাকছে ফটোগ্রাফি, স্কাল্পচার, এর মধ্যে মহিলা শিল্পীদের কাজ বেশি জায়গা জুড়ে আছে।চীন, ইউক্রেনে থেকেছেন এখন ভারতেই পাকাপাকি ভাবে থাকেন এমন শিল্পীদের ছবিও থাকছে।
থাকছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যামিনী রায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন আরো অনেকের ছবি আবার নতুনদের ছবি।
আর থাকছে গান। এই আয়োজনের সাথে বিশেষ ভাবে যুক্ত বিশিষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র। ১৫ মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে তাঁর বিশেষ নিবেদন।এর পর আরো দুদিন থাকছে তাঁর ‘গানের পাঠশালা’ বিশেষ পরিবেশনা সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে। থাকবে রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে সত্যজিতের সঙ্গীত, সলিল চৌধুরীর গান, ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবির অনেক সুর-গান সব মিলিয়ে সঙ্গীতের সাথে আর্ট এর এক মেলবন্ধন ঘটবে এই শিল্পের মহাকর্মযজ্ঞে। এই আয়োজনের নেপথ্যে বিশিষ্ট আর্টিস্ট মেহতাব মোল্লা।তিনি বললেন, ” অন্যান্য শহরে গিয়ে দেখেছি আর্ট ফেয়ার গুলোয় ছবির বাজার রয়েছে।কিন্তু কলকাতায় ছবি বা যে কোনো ফর্মের আর্ট বেঁচে উপার্জন করার সুযোগ অনেক কম আরো সমস্যা নতুনদের জন্য।কলকাতায় তেমনই একটা আর্ট ফেয়ার শুরু করার তাগিদ থেকেই এই আর্ট ফেয়ারের যাত্রা শুরু।” দেবজ্যোতি মিশ্র বলেন, ” এই উদ্যোগের আমিও একজন সহযোদ্ধা।নতুনদের একটা যায়গা দেওয়ার দরকার। তার সাথে সঙ্গীতের এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটবে এই আর্ট ফেয়ারে।” রূপক সাহা, কর্ণধার, শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স, বলেন,” এই উদ্যোগের সাথে আমরা শুরুর দিন থেকেই আছি।আমরা নিজেরা গহনা শিল্পের সাথে জড়িত সেটাও যেমন আর্ট যেমন গহনার ডিজাইন ঠিক একই ভাবে ফাইন আর্টের নানা দিকের প্রতিই আমরা বরাবর উৎসাহী।নতুন শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর,তাঁদের কাজকে সমর্থন করার জন্যই এই উদ্যোগে আমরা সামিল হোই।মাঝে এক বছর করোনার জন্য করা সম্ভব না হলেও আশা করি কলকাতা আর্ট ফেয়ারের এই দ্বিতীয় বছরের এই উদ্যোগ সবার ভালো লাগবে।”