রামিজ আলি আহমেদ:সম্প্রতি ফাইভ ম্যাড মেন-এ প্রকাশ পেল ‘চিক ফ্লিক২’র ট্রেলার ও মিউজিক।জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ও তরুণ তুর্কি মিল্কি ওয়ে ফিল্মস দ্বারা প্রযোজিত ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চিক ফ্লিক সিজন ওয়ানের থেকে এ গল্প এগিয়ে যায় আরও এক বছর। তনয়কে ছেড়ে চলে গেছে জিনিয়া, মন্টুকে ছেড়ে বিয়ে করে নিয়েছে সোমা, বাম্পিকে ছেড়ে অভিনয় করতে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছে স্যুইটি। এই নিরস জীবন থেকে আনন্দ খুঁজে নিতে ওরা অন্যান্যদিনের মতোই একদিন হাজির হয় ‘বাজির ওয়াও মাস্তানি’ পাবে। যেটি আসলে জুয়ার ঠেক। জুয়ার গৌরব রায়বাহাদুর খেতাব পাওয়া পরিবারের ছেলে মন্টু লুডোয় বাজি রেখে পঞ্চাশ লাখ হারে এবং মাস্তানির খপ্পরে পড়ে এই চারজন। শর্ত , হয় পঞ্চাশ লাখ ফেরত নাহলে বিখ্যাত বিজ্ঞানী চন্দ্রবিন্দুর যুগান্তকারী আবিস্কার অমৃত’র ফর্মুলা থাকা হার্ড ড্রাইভ এনে দিতে হবে। মাখনের হাত ফস্কে যা এই মুহুর্তে রয়েছে মেডুসার কাছে এবং যা নিয়ে ডিল হতে চলেছে স্মাগলিং ক্যুইন মেডুসার আর ড্রাগ মাফিয়া জ্যেঠুর । ডিল ভেস্তে দিয়ে সেই ফর্মুলা এনে দিতে হবে মাস্তানিকে। ফলে, মন্টু-তনয়-বাম্পি মিলে আবারও জড়িয়ে পড়ে মেডুসার সঙ্গে টক্করে। জ্যেঠু আর মেডুসার ডিল ভেস্তে দিয়ে কোকেন আর সেই অমৃতর ফর্মুলা থাকা হার্ড ড্রাইভ নিয়ে গা ঢাকা দেয় তারা। সঙ্গে এসে পড়ে জিনিয়াও। ঘটনা চক্রে জিনিয়া কীভাবে যোগ দিলো সে এক রহস্য! যার উত্তর রয়েছে এই সিরিজেই। তিন পক্ষের টানাপোড়েনের মধ্যে ফেঁসে গিয়ে বাম্পি মন্টু তনয়ের বাবা, দাদু এবং মা কিডন্যাপড হয়ে যায় মাস্তানির দ্বারা। জ্যেঠুর মেয়েকে কিডন্যাপ করে বসে মেডুসার দুই শাগরেদ গজা ও লিমকা।
মাস্তানি, জ্যেঠু এবং মেডুসার দিক থেকে সাংঘাতিক সমস্ত হুঁশিয়ারি আসতে থাকে, মহা সংকটে পড়ে ওরা। কোনো উপায় না পেয়ে একে একে সবার সঙ্গে দেখা করবে বলে ঠিক করে তারা। একটি বিশেষ কায়দায় অমৃতর ফর্মুলাকে সুরক্ষিত করে তারা, যাতে কোনোভাবেই এই লোকগুলোর হাতে না পড়ে সেই বিখ্যাত আবিস্কার। কী সেই কায়দা? উত্তর রয়েছে সিরিজেই।
শেষে হয় এক ধুন্ধুমার! উত্তেজনা, গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণ! এবং যার রঙে কেমন একটা বদলে যায় সবকিছু। চেনা মানুষেরা অচেনা হয়ে পড়ে, আবার যাদের বড় অচেনা মনে হচ্ছিল তারাই বড় বন্ধু হয়ে ওঠে। হাতবদল থেকে মন্টুর বুদ্ধিতেই বেঁচে যায় অমৃতর ফর্মুলা। বেঁচে যায় মানবজাতি। কিন্তু বহু প্রশ্নের সমাধান হয় না। কারণ অনেকেই মুখোশ পরে ছিল এতদিন। সেইসবের উত্তর রয়েছে গল্পের পরতে পরতে।
বন্ধুতা, বিশ্বাস, বিশ্বাসভঙ্গ, ভালোবাসা, আনন্দ, মজা, ইনোসেন্সের একটা উদযাপনের মধ্যে দিয়েই আবর্তিত হয় চিক ফ্লিক সিজন টু-এর গল্প। যার প্রতিটি কমেডির মোড়কে আগাগোড়া একটা রহস্য টানটান ভাবে থেকে যায়। আলো পড়লেই চরিত্রেরা পরিস্ফুট হয় আবার পরক্ষণেই বদলে যায়। আর সবশেষে পড়ে থাকে বন্ধুতা। উদযাপন। সমস্ত হুজ্জুতির পরে একটা দারুণ আনন্দ। ভালো লাগার ঘোর।
‘চিক ফ্লিক২’-তে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন
মেডুসার চরিত্রে – সুদীপা বসু
জ্যেঠুর চরিত্রে – খরাজ মুখার্জি
বাম্পির চরিত্রে – সায়ান ঘোষ
তনয়ের চরিত্রে – অনুজয় চট্টোপাধ্যায়
জিনিয়ার চরিত্রে – সাওলি চট্টোপাধ্যায়
মন্টুর চরিত্রে – সবুজ বর্ধন
মাস্তানির চরিত্রে – রাতশ্রী দত্ত
বিম্বাবতি (বিম্বোর) চরিত্রে – জিনা তরফদার
মাখনের চরিত্রে – রাহুল সেনগুপ্ত
গজার চরিত্রে – দেবরাজ ভট্টাচার্য
লিমকার চরিত্রে – পলাশ হক
ইন্সপেক্টর দুরন্তর চরিত্রে- কৃষ্ণেন্দু দেওয়ানজি
সি পি’র চরিত্রে – পৌষমিতা গোস্বামী
দাদু দার চরিত্রে – দেবাশীষ সেন শর্মা (মিকি)
সার্জেন্ট লগা দার চরিত্রে – রানা বসু ঠাকুর
দোভাষী দিয়েগোর চরিত্রে – শ্রীদীপ মুখোপাধ্যায়।
‘চিক ফ্লিক২’ মুক্তি পেতে চলেছে ২৯ নভেম্বর ‘ক্লিক’ ওটিটি তে।
ট্রেলার ও মিউজিক লঞ্চের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি রইলো আপনাদের জন্য: