নিজস্ব প্রতিনিধি:নৌশাদ বলতেন ‘হি ওয়াজ কম্পোজার অফ কম্পোজারস”। সুরের আকাশে যিনি অনেক গানের পাখি উড়িয়েছিলেন।কখনো সেগুলো জিন্দগি ক্যায়সি হ্যায় পেহলির নানা রঙের বেলুন হয়ে গেছে।জীবনের দুরন্ত ঘূর্ণির ছন্দে,ছন্দে নানা রঙ বদলে আমাদের জীবনকে উজ্জীবিত করেছেন তাঁর গানে, কথায়, গল্পে, আন্দোলনে তিনি সলিল চৌধুরী।
১৯ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন।দেবজ্যোতি মিশ্র তাঁর মতো করে স্মরণ করবেন এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। অনেক অজানা গল্প, গান, মিউজিক্যাল প্রেসেন্টেশন সব মিলিয়ে ২১ নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণাসেন অডিটোরিয়ামে বসলো সলিল সুরের সন্ধ্যা।জীবন উজ্জীবন- গানে গল্পে সলিল কথা।
দেবজ্যোতি মিশ্র বললেন, ” সলিল চৌধুরী অত বড় কম্পোজার হয়েও সেলেব্রিটি সুলভ আচরণ করেননি কখনও । সবার মধ্যে মিশে যেতে পারতেন । ওঁর মুম্বইয়ের বাড়িটি ছিল মিউজিশিয়ানদের জন্য অবারিত দ্বার । আজ এমন কঠিন সময়ে ওঁর এই দিক গুলোর কথাই বেশি করে মনে পড়ে ।জীবনে অনেক কিছুই শিখেছি । তার মধ্যে সলিলদা শিখিয়েছেন কী ভাবে সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঁচা যায় । এই যে নিজেকে সেলিব্রিটি ভেবে অন্যদের থেকে দূরে থেকে বাঁচার চেয়ে সবার সঙ্গে বাঁচার যে আনন্দ, সেটা সলিলদার জীবন যাপনের থেকে পাওয়া । এই সলিল চৌধুরীও সঙ্গীতশিল্পী সলিল চৌধুরীর মতোই আমার জীবন যাপনে গুরুত্বপূর্ণ । ওঁর ইচ্ছা ছিল সুরকার কীভাবে তৈরি করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক ।
যেখানে মিউজিক নিয়ে, কম্পোজিশন নিয়ে যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা শিখতে পারবেন সেই বিষয়ে খুঁটিনাটি সব কিছু । যদিও সেই ভাবনা বাস্তবে রূপ পায়নি । কিন্তু কত মিউজিশিয়ান তিনি যে তৈরি করে গিয়েছেন, আজও তাঁর গান থেকে যে কতজন কতকিছু শিখছে, তা ভাবলে অবাক হই । আমিও গানের পাঠশালা তৈরি করেছি, ওই যে বলেছিলাম, সুতোয় বাঁধা পড়ে রয়েছি । সেই দিন গুলোর কথা বললাম, গান করলাম, আরো একবার নিজেদের জীবনকে সলিল মন্ত্রে উজ্জীবিত করলাম।” গানে কখনো “এই রোকো পৃথিবীর গাড়িটা থামাও, কখনো “শোনা কোনো একদিন”, “জিন্দগি ক্যায়সি হ্যায় পেহলি”,”ও আলোর পথযাত্রী”, “পথে এবার নামো সাথী” এর মতো গানে মুখরিত হল অডিটোরিয়াম।গান করলেন মেখলা, অর্ণব, অরিত্র এর মতো এই প্রজন্মের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীরা। বেশ কিছু গানে গলা মেলালেন দেবজ্যোতি স্বয়ং।