নিজস্ব প্রতিনিধি:নজরুলতীর্থ সহ রাজ্যের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে তন্ময় রায় পরিচালিত এবং সুধীর দত্তর সংগীত পরিচালনায় ও প্রযোজনায় হিন্দি ছবি “রাজনন্দিনী”।
ছবিটি রহস্যধর্মী ,রোমান্টিক ও সঙ্গীতময় বিনোদনমূলক এক ছায়াছবি।এদিন নজরুলতীর্থ প্রেক্ষাগৃহে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত,শকুন্তলা বড়ুয়া এবং অন্যান্য কলাকুশলী ও গুণমুগ্ধদের উপস্থিতিতে “রাজনন্দিনী”র বিশেষ প্রদর্শনী হয়ে গেল।
পরিপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে প্রযোজক সুধীর দত্ত জানালেন,”করোনাকালীন পরিস্থিতিতে অনেক বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে হিন্দি ছবি করার ক্ষেত্রে বাংলার এবং হিন্দি শিল্পীরা ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছেন।”
তিনি আরো বলেন,”রহস্য-রোমাঞ্চ ঘেরা এই ছবিতে তরুণ প্রজন্মদের শিক্ষা দিতে আমাদের এই ছবি সমাজের জন্য এক বিশেষ নিবেদন।”
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন দেবলীনা দত্ত, নাফে খান, সুদেশ বেরি, অমিতা নাঙ্গিয়া, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুধীর দত্ত, শান্তনা বসু, দেবাশীষ গাঙ্গুলি,লেসলি ট্রিফটি, কিশোর নান্দু লস্কর, অবধেশ কুমার, শুভব্রত বসু,দেব গাঙ্গুলি, মানিকা গাঙ্গুলি, বীর, পূজা গাঙ্গুলী, দীপ্ত, মাহি খান সৌরভ, মৈত্রী, অনুরাধা চ্যাটার্জি, প্রতিপ, অর্পিতা, অঞ্জু মালহোত্রা, নরেশ,স্নেহা, সৌমেন, ক্যান্ডি, শিলা, আর্য বসু, ডি. কাঞ্জিলাল, দেবারতি, অচ্যুত, সুপ্তি, নাড়ুগোপাল মন্ডল, পার্থ প্রতিম, সৌমেন, মন্দিরা, চন্দ্রা, তুষী,রণজয়, মনীষা, রাকেশ, পিয়ালী, গোলাপ আলি, ওমপ্রকাশ, এস পাঁচসিয়া রত্না দেব, মৌসুমী, রুনু,গোপাল দেব, রঞ্জন ভট্টাচার্য।
ছবির সংক্ষিপ্ত কাহিনি এরকম-প্রত্নতত্ত্বের একটি ট্রেজার, প্রফেসর, ফার্নান্দেজ, কলেজ ছাত্রের দুটি গ্রুপকে নীল হাভেলির কাছে একটি পুরোপুরি ভুতুড়ে ক্যান্টুরি ওল্ড কিংস ম্যানশনকে কিশানজুঞ্জে ভ্রমণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগটি দখল করেছেন, যেখানে থা ওয়ালস খুব দু: খিত, সর্দিড ইতিহাসের ফিসফিস করে বিশ্বাসঘাতকতা, লালসা, লোভ, ঘৃণা এবং মৃত্যু। থা হাভেলিতে কোথাও লুকিয়ে আছে বলে বিশ্বাস করা “রাধা মাধব”-এর একটি রত্নখচিত মন্দিরের সন্ধান করছেন অধ্যাপক ইতিহাস তার রহস্যবাদ এবং প্যারানরমাল ঘটনার রক্তাক্ত ফ্যাঙ্গগুলি প্রকাশ করে – রাহুল, বর্তমান যুগে একজন পুনর্জন্ম, একজন ছাত্র নেতা, ইয়ানিশ তার আগের জন্মের লেডি লোভের আত্মা, রাজা কন্যা রাজনন্দিনি – তবে প্রায় সমস্ত শিক্ষার্থীর সামনে নয়, তবে প্রায় সমস্ত শিক্ষার্থী নয় সেই ভুতুড়ে প্রাসাদের সেই অগ্নিময় সোরিটস এর হাতে অস্বাভাবিক এবং ভয়ঙ্কর মৃত্যুর সাথে দেখা করুন।শুধুমাত্র রাজ এবং পায়েল, দুই ছাত্র, কোনো না কোনোভাবে, সৌভাগ্যবশত বিলাপ করতে এবং বিশ্বকে জানাতে পালিয়ে যায়।
ছবির কাহিনী সুধীর দত্তর।চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন অম্লান মজুমদার, ডি.কাঞ্জিলাল, নাড়ুগোপাল মন্ডল।চিত্রগ্রহণ করেছেন কুমুদ ভার্মা, পার্থ, রঞ্জিত, শুভেন্দু, আনমোল সাহা ।ছবির গান লিখেছেন রাজীব দত্ত, অরুণাশীষ রায়, সুধীর দত্ত।সুধীর দত্তের সুরে ছবিতে গান গেয়েছেন রাখি দত্ত, রথীজিৎ, অরিত্র, শোভন, রিক, রূপশা, সুজয়, শুভঙ্কর : সৌমেন ঘোষ, পূজা গাঙ্গুলি।সম্পাদনা অরিন্দম গায়েনের।
কারিগরি প্রধান- নাড়ুগোপাল মন্ডল ।