আনন্দ সংবাদ লাইভ:সুন্দর মেদহীন শরীর আমরা সকলেই চাই।তবে এখনকার ফাস্ট ফুডের যুগে স্লিম ফিগার পাওয়া বেশিরভাগ মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। ব্যস্ত লাইফস্টাইলে অল্প বয়সেই এসে যায় ভুঁড়ির সমস্যা।
ভুঁড়ি আমাদের সৌন্দর্যহানি তো করেই, পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মেদের ফলে বাড়তে পারে ডায়েবিটিস, প্রেশার, কোমর ও হাঁটুর ব্যথার মতো সমস্যা। এমনকি ক্লান্তি, অনিদ্রা, শ্বাসকষ্টের মতো বহু শারীরিক সমস্যার সঙ্গেও অতিরিক্ত ওজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
সারাদিনে আমরা যেসব খাবার খাই, আমাদের শরীরে তা থেকেই শক্তি আসে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়েই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। এদিকে কাজ করি অফিসে বসে থেকে। কোনোরকম শারীরিক কসরতও করা হয় না। এর ফলে সেই অতিরিক্ত খাবার, ফ্যাট বা গ্লুকোজ-এর আকারে শরীরে জমে যায়। অনেকসময় জিমে গিয়ে, ডায়েট কন্ট্রোল করেও কোনো লাভ হয় না। তাই জেনে নিন ৯টি সহজ ঘরোয়া সমাধান-
১. মেদহীন সুস্থ শরীর পেতে পরিমিত আহার, নিয়মিত ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই।
২. বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত তেল-মশলা, ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। রেড মিট এড়িয়ে চলুন। ফাস্ট ফুড, ডিপ-ফ্রাই করা খাবার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংক্স, অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। বদলে স্ন্যাক্স হিসেবে খান ফল, গ্রিলড্ খাবার, চাট, স্যালাড, আমন্ড, টক দই।
৩. খাওয়ার সময়ে পেটে একটু জায়গা রেখে খান। খাবার ভালো হজম হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরির সমস্যাও হবে না।
৪. ভাত, ময়দা, চিনি কম খান। পারলে ঢেঁকি-ছাঁটা চালের ভাত খান। আটার রুটি খান। চা-কফিতে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন।
৫. সারাদিনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ রাখুন বেশি। ছোটো মাছ, চিকেনের ব্রেস্ট পিস খান। খাবারের পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফল।
৬. জিমে যাওয়ার আলাদা সময় না থাকলে বাড়িতেই করুন শরীরচর্চা। রোজ সকালে উঠে আধ ঘণ্টা রাখুন নিজের জন্য। স্কিপিং, বুক ডন, বৈঠক, পুল-আপের মতো খালি হাতে ব্যায়াম করুন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নির্দ্বিধায় করতে পারেন এই এক্সারসাইজগুলো। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে কোনো শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের থেকে সঠিক ফর্ম অবশ্যই জেনে নেবেন।
৭. মেদ কমাতে না খেয়ে খালি পেটে থাকেন অনেকে। সেটি খুবই ভুল ধারণা। অল্প অল্প করে বারবার খান। নয়তো হিতে বিপরীত হবে।
৮.রাতে ঘুমতে যাওয়ার অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে ফেলুন। তারপর নিজের কাজ করতে পারেন। শুতে যাওয়ার আগে হালকা পায়চারি। এতে আপনার খাবার হজম হবে। খাবার হজম না হওয়ার কারণে মেদ জমে শরীরে। ফলে হজম হওয়ার সময় দিলে ভুঁড়ি কমবে সহজেই।
৯.খাবার সময়ের মধ্যে যেন দীর্ঘ সময়ের বিরতি না থাকে। অর্থাৎ দিনে তিনবার ভারী খাবারের জায়গায় পাঁচ, ছ’বার হালকা খাবার খান।
আর সবথেকে বড় কথা আনন্দে থাকুন।