টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ অলকানন্দা গুহ।তাকে এখন দেখা যাচ্ছে ‘মহাপিঠ তারাপীঠ‘ মেগায় মা বিপদতারিনীর ভূমিকায়।তার সঙ্গে একান্ত আড্ডায় আনন্দ সংবাদ লাইভ-এর সম্পাদক রামিজ আলি আহমেদ ।
প্রশ্ন:স্টার জলসায় সম্প্রচারিত ‘মঠাপিঠ তারাপীঠ’-এর বিপদতারিণীর ভূমিকায় অভিনয় করে কেমন লাগছে?
অলকানন্দা:প্রিয়ডিক ড্রামা বা মাইথলজি চরিত্র করতে আমার ভালোই লাগে।প্রত্যেকটা চরিত্রের অদ্ভুদ একটা গভীরতা থাকে,কাজ শেখার সুযোগ হয়।
প্রশ্ন:জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা
অলকানন্দা:আমার হোমটাউন কল্যানিতে।কিন্তু আমার জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা পুরোটাই কলকাতার শিয়ালদহ তে।
প্রশ্ন:পরিবার
অলকানন্দা:বাবা, মা,আমি আর আমার ছোট বোনকে নিয়ে আমার পরিবার।বাবা সরকারি উচ্চপদস্থ অফিসার, মা পুরোপুরি গৃহবধূ আর আমার ছোট বোন অনন্যা গুহ ।আমার ছোট বোনও ছোট পর্দার পরিচিত মুখ।
অলকানন্দা ও অনন্যা
প্রশ্ন:পড়াশুনা
অলকানন্দা:আমার স্কুলিং লরেটো ডে স্কুল থেকে আর শ্রী শিক্ষায়াতন কলেজ থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক।
প্রশ্ন:অভিনয়ে এলেন কিভাবে
অলকানন্দা:একদিন টিভি দেখতে দেখতে টিভির স্ক্রিনে চোখ পড়ে একটা বিজ্ঞাপনে,সেখানে নতুন মুখ চেয়ে ছবি পাঠানোর জন্য ইমেল।সেই ইমেলে ছবি পাঠাই।সেই চ্যানেল থেকে অডিশনের জন্য ডাক দেয়।অডিশন দিই।এরপর তারা বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউসে পাঠাতে থাকে।এভাবেই যোগাযোগ তৈরি হয় এবং জগতে আসা।
প্রশ্ন:প্রথম কাজ
অলকানন্দা: শঙ্কর রায়-এর পরিচালনায় ‘আর্তনাদ‘ ছবিতে আমার প্রথম অভিনয়।তখন আমি সবে মাত্র ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী।
প্রশ্ন:তারপরের কাজগুলো
অলকানন্দা: কালার্স বাংলায় ‘ব্যোমকেশ’ মেগায় ঝিমলি চরিত্র, রবি ঠাকুরের গল্প সিরিজে ‘স্ত্রীরপত্র’ গল্পে বিন্দুর চরিত্র, ইটিভি তে ‘বামাক্ষাপা’,জি বাংলায় চোখের বালি’র সুরভি চরিত্র,স্টার জলসায় ‘ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’র চিত্রলেখা, জি বাংলায় ‘গোয়েন্দা গিন্নি’তে রিয়াঙ্কার চরিত্র, কালার্সে ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ মেগায় সারদা চরিত্র,কালার্সে ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ মেগায় বিষ্ণুপ্রিয়া,স্টার জলসায় ‘ইরাবতী চুপকথা’য় তিয়া,আকাশ ৮-এ ‘আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম ২’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্র রোশনি।জি বাংলায় ‘আলোছায়া’ মেগায় রুচিরা। ‘শিকারি’ ছবিতেও অভিনয় করেছি।শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও তেও অভিনয় করেছি।নেহাল দত্ত-র ‘বাঘিনী’ তে অভিনয় করেছি।হইচই এর ”বন্য প্রেমের গল্প২’-এ জুঁই চরিত্রটা করেছি।অভিজিৎ সোমের ছবি ‘দত্ত পাড়ার ক্যাওড়া ক্যাচাল’ নামে একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায়।এখন তো ‘মঠাপিঠ তারাপীঠ’ করছি।
প্রশ্ন:বাড়িতে সময়
অলকানন্দা:মেগা করলে একদমই সময় দেওয়া যায় না।যেহেতু আমার বাড়ি থেকে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিটা অনেক দূরে।ফলে ফিরে এসে আর বাড়িতে সেই ভাবে সময় দেওয়া যায় না।তবে লকডাউনের জন্য বেশ কটা দিন বাড়িতে থাকার সময় পাচ্ছি।
প্রশ্ন:লকডাউনে বাড়িতে কিভাবে সময় কাটছে?
অলকানন্দা:ব্লগ করি, ফোনে বন্ধুদের সাথে কথা হয়। নতুন কাজ নিয়ে প্রিপারেশন নিচ্ছি, পেন্টিং করছি,রান্না করছি।
প্রশ্ন:বাড়ির চোখে অভিনয়
অলকানন্দা:মা বাবা সবসময় খুব সাপোর্ট করেন।সব ব্যাপারে আলোচনা করি বাবা মায়ের সঙ্গে।
প্রশ্ন:শুটিংস্পটের মজাদার ঘটনা
অলকানন্দা:মাজার ঘটনা তো প্রতিদিনই ঘটে।কেউ ঘুমিয়ে পড়লে জল স্প্রে করে জাগিয়ে দিই।এক একদিন আমাদের মেক আপ আর্টিস্টকে চড়া মেক আপ করে দিই।
প্রশ্ন:প্রেম এবং বিয়ে
অলকানন্দা: কমিটেট হয়েছি,সম্পর্কে আছি।
প্রশ্ন:নামটা বলে দাও
অলকানন্দা:নামটা পরে বলবো।তবে এটুকু বলতে পারি এই ইন্ডাস্ট্রিরই।
প্রশ্ন:খাওয়া দাওয়া
অলকানন্দা:আমি এমনিতেই ভীষণ ফুডি।খেতে খুব ভালোবাসি, কোনও খাবারে না করি না।বিরিয়ানি খেতে খুব ভালোবাসি।
প্রশ্ন:প্যাশন
অলকানন্দা:পেন্টিং।ফ্রি টাইমে সারাক্ষণ পেন্টিং করি।
প্রশ্ন:অভিনেত্রী না হলে
অলকানন্দা:সি.এ.কমপ্লিট করে একটা ফার্ম খুলতাম।অ্যাকাউন্টসে খুবই ভালো ছিলাম।
প্রশ্ন:গুজব
অলকানন্দা: সে তো দর্শকরাভালো বলতে পারবেন।
প্রশ্ন:ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু
অলকানন্দা:আমার বোন অনন্যা, পরিচালক মনোজিৎ মজুমদার ,অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা বোস,ফটোগ্রাফার সুকান্ত কুন্ডু ।
বন্ধু ঐন্দ্রিলা’র সঙ্গে
প্রশ্ন:ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অলকানন্দা:আরো ভালো ভালো কাজ করতে চাই।বলিউডে কখনও যাবো না,টলিউডেই কাজ করে যেতে চাই।
প্রশ্ন:ছোটপর্দা না বড় পর্দা
অলকানন্দা:বড়পর্দাতেই কাজ করতে চাই।কারন বড়পর্দায় কাজ করলে অনেক ফ্রীডম থাকে।ছোটপর্দার কাজ খুব একঘেয়েমি।বড়পর্দার কাজ গুলো থেকে যায়। বড়পর্দায় কাজ করলে বাড়িতেও সময় দেওয়া যায়।
প্রশ্ন:ছোট পর্দার কাস্টিং কাউচ
অলকানন্দা:সেরকম কিছু ফেস করিনি এখন পর্যন্ত।
প্রশ্ন:স্বপ্ন
অলকানন্দা:একজন ভালো অভিনেত্রী হতে চাই,হিরোইন নয়।
প্রশ্ন:ইন্ডাস্ট্রির কোনও তিক্ত অভিজ্ঞতা
অলকানন্দা:অনেক রয়েছে।ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ বন্ধু হয় না।
প্রশ্ন:প্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রী
অলকানন্দা:প্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খান,প্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
প্রশ্ন:বেড়াবার প্রিয় জায়গা
অলকানন্দা:জঙ্গল।