নিজস্ব প্রতিবেদক:এক অদ্ভুত সময় এবং জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।
পৃথিবী জুড়ে একাকিত্বের শৃঙ্খলে জেরবার স্বাভাবিক জীবন। দিন এগোচ্ছে আর আমরা ক্রমশ কুঁকড়ে যাচ্ছি। কাছের মানুষ আর বন্ধুত্বহীন জীবন আমাদের পেয়ে বসেছে। এর সঙ্গেই দেশে বিদেশে ছড়িয়ে আছে হিংসা মিশ্রিত ভয়ের বাতাবরণ। আর এই সব কিছুই চুপ করিয়ে রেখেছে মানুষের মুখ। মানুষ আজ নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
কিন্তু এখনও অজস্র সচেতন মানুষ আছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থ আর ধান্দাবাজির উর্দ্ধে উঠে, সমস্ত ভীতিকে উপেক্ষা করে যাদের আন্তরিক সঙ্গবদ্ধতা এই পৃথিবীব্যাপী ঘটে চলা অঘটনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি একাকিত্বকে দূরে ঠেলে দিতে আজ সহনাগরীকদের একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর ভীষণ প্রয়োজন।
মূলত এইসব অনুভূতি থেকেই সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু বসু তৈরি করলেন নতুন বাংলা গান – “বন্ধু”।
সুরের ভাবনার পাশাপাশি শুরুতে শান্তনু নিজেই কলম ধরেছিলেন। তাঁর দেখানো পথেই গানের বাকী অংশ লেখেন অনির্বাণ মিশ্র। গানটা তৈরির প্রাথমিক পর্ব থেকেই সুরকারের মনে যে শিল্পীর নাম মনে আসে তিনি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর । গানটা শুনে তাঁর ভালো লাগলে তিনি গানটি রেকর্ড করেন। এই গান নিয়ে ভীষণ আশাবাদী রূপঙ্কর। তাঁর মতে নতুন গান জনপ্রিয় হতে সময় লাগে। কিন্তু এই গান প্রকাশের পরে শ্রোতাদের কাছ থেকে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া তিনি পাচ্ছেন তাতে তিনি নিশ্চিত যে এই গান মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করেন এই গানের সুরকার শান্তনু বসু।
গানটির মিউজিক ট্র্যাক রেকর্ড করা হয়েছে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় ঘোষের তত্ত্বাবধানে রেজোনেন্স স্টুডিওতে। অপেরা স্টুডিওতে অর্ক সরকারের কারিগরি সহায়তায় ভয়েস ডাব ও মিক্স করা হয়েছে।
ভিডিও সম্পাদনা করেছেন অভিজিৎ ব্যানার্জী।
‘কসমিক হার্মোনি’র কর্ণধার এই প্রয়াসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন । ওঁর কম্পানির ইউটিউব চ্যানেল থেকেই কয়েক দিন আগে গানটি প্রকাশিত হয়েছে।
গানের বক্তব্য, সুরের গতিপথ, রূপঙ্করের গাওয়া ও অভিজিৎ ব্যানার্জী সম্পাদিত এই গানের ভিডিও অন্যান্য যে কোনো মিউজিক ভিডিওর থেকে স্বতন্ত্র।
চিরাচরিত রীতির বাংলা গানের পথে না হাঁটা এই গান মানুষের মনের কোণে অবশ্যই জায়গা করে নেবে।