নিজস্ব প্রতিনিধি:ওড়িষী নৃত্যের পথপ্রদর্শক পদ্মবিভূষণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র এবং গুরু শ্রীমতি সংযুক্তা পাণীগ্রাহীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে ৪জুলাই জ্ঞানমঞ্চ প্রেক্ষাগৃহে কলকাতার ওড়িষী ডান্সার্স ফোরাম প্রতিবারের মত এবারও মঞ্চস্থ করল পরম্পরা অনুষ্ঠানটি।
শুধুমাত্র ওড়িষী নৃত্যের ব্যপ্তিই নয় গুরু শিষ্য পরম্পরার মাধ্যমে বরিষ্ঠ ওড়িষী নৃত্য শিল্পী যারা গুরুজীর আশীর্বাদ ধন্য তাঁদের দ্বারা তরূণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের নৃত্য প্রতিভাকে জনসমক্ষে স্বীকৃতি প্রদান করা এবং গুরুজীর নৃত্য নির্মীতি তরূণ নৃত্য শিল্পীদের দ্বরা দর্শক সমক্ষে পরিশীলিত ভাবে প্রদর্শণ করাই পরম্পরা অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য। নবীন শিল্পীদের উৎসাহিত করার জন্য শ্রেষ্ঠ প্রদর্শনকরীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাননীয় অতিথীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডঃ মালবিকা মিত্র, গুরু অলকা কানুনগো, এবং ডঃ দীপাণ্বিতা হাজারি। অনুষ্ঠানের মূল পর্বে ঋত্বিকা দাশ এবং অনুলেখা নন্দী পরিবেশন করেন শান্তাকরম এবং সাবেরী পল্লবী। দেবলীনা দত্ত পরিবেশন করেন শঙ্করাভরণ পল্লবী এবং মানিক্যবীণা। অস্মিতা সেনগুপ্ত পরিবেশন করেন ওড়িয়া অভিনয় পথছাড়ি দে এবং স্বাগতম কৃষ্ণ। দিয়াসিনী গুহ পরিবেশন করেন পূর্ণাঙ্গ বরাদি পল্লবী এবং শ্রীতকমলা। চিরশ্রী ভান্ডারী উপস্থাপন করেন অভিনয় দেখ গো এবং নবদূর্গা। দেবদত্তা মান্না পরিবেশন করেন দশাবতার এবং পটদীপ পল্লবী। শুভশ্রী রয় পরিবেশন করেন হংসধ্বনী পল্লবী। সৃজনী ব্যানার্জী উপস্থাপন করেন অভিনয় মারে বাণ ধারা এবং মেঘ পল্লবী। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রীমতি নীলাদ্যূতি চৌধুরী। পৃষ্ঠপোষকতায় সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার এবং কেন্দ্রীয় সঙ্গীত নাটক আকদেমী। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে অশোক তপন, পরিচয় চক্রবর্তী, আশীষ কুমার দত্ত এবং ডঃ কৌশিকী চক্রবর্তী।