Close

দেবজ্যোতি মিশ্রের মিউজিক পাঠশালার মিউজিক ফেস্টিভ্যাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:সম্প্রতি বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্রের উদ্যোগে “মিউজিক পাঠশালা” এর গানের উৎসবের একটা আয়োজন করা হয়েছিল। সম্প্রতি সব মিলিয়ে একটা প্রতিষ্ঠান, একটা স্বপ্ন, একটা জার্নির উদযাপন হয় সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়াম ( আই. সি.সি. আর) -এ। মিউজিক পাঠশালা দেবজ্যোতি মিশ্রের এক স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।

তিনি যা শিখেছেন তা সবার সাথে ভাগ করে নিতে চান, তাদের থেকেও শিখতে চান। সলিল চৌধুরীর সাথে তেরো বছরের সহকারী হিসেবে কাজ, অন্যান্য দিকপাল সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এই সঙ্গীতের উৎসবে তেমন অনেক সঙ্গীত শ্রষ্টাদের যেমন শ্রদ্ধান্জলি জানান হলো, তেমনি ছিল পুজোর গান।


দু’দিনের এই সুরের উৎসবে প্রথম দিন ছিল পুজোর গান।এ বাংলায় দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে পুজোর গান প্রকাশ করার প্রচলন আছে। এক কালে বাংলার বরেণ্য শিল্পীদের মৌলিক বাংলা গান প্রকাশ পেত ঠিক পুজোর আগে, রেডিওতে, পুজো মন্ডপে সেই গান বাজতো, অনেক বনেদি বাড়িতে সেই সব গান বাজতো গ্রামোফোন ডিস্কে।

পরে তা ক্যাসেট , সিডি হয়ে ইউটিউবে এসে ঠেকেছে। কিন্তু সেই নস্টালজিয়া আজও পিছু ডাকে। প্রথম দিন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র-পঙ্কজ কুমার মল্লিক -বানী কুমারের কালজয়ী সৃষ্টি মহিষাসুরমর্দিনী এর গান সহ আরো অনেক পুজোর গান পরিবেশিত হলো। দ্বিতীয় দিনে ছিল দিকপাল সুরকারদের শ্রদ্ধান্জলি। সলিল চৌধুরী,সত্যজিৎ রায়, শচীন দেব বর্মন, সুধীন দাশগুপ্ত, রাহুল দেব বর্মন এমন অনেক সুরকারদের শ্রদ্ধা জানালেন মিউজিক পাঠশালার শিল্পীরা।

গানের পাশাপাশি দু’দিনই ছিল যন্ত্রসঙ্গীত বাদন। কয়্যারে বাজলো তোমার আলোর বেণু, ও আলোর পথযাত্রী , আমি চলতে চলতে থেমে গেছি ( চৈতালি রায় ), পাগল হাওয়া ( তনুশ্রী ব্যানার্জি ), আমি চিরতরে দূরে চলে যাব (মনোতোষ ভৌমিক), পিয়া তোরা (চন্দ্রিলা বসু চৌধুরী ), মথুরা নগরপতী ( ঐষিতা ব্যানার্জি ) যাও পাখি বলো তারে ( দেবদত্তা রায় ), গুরু দোহাই তোমার (প্রিয়াঙ্কা শিলাদিত্য ), কে আবার বাজায় বাঁশি (পারমিতা মুখার্জি ), রাহে না রাহে হাম ( চয়নিকা দত্ত ),আরো দূরে চলো যাই ( দেবপ্রিয়া মুখার্জি ), যা রে যা আমার আশা ( সুলগ্না বসু ) গান গুলো বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

দেবজ্যোতি মিশ্র বললেন, “আমায় ঋতুপর্ণা ঘোষ বলেছিলেন আমার নিজের একটা সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান থাকা দরকার। , নিজে যা শিখেছি সেটা আদান-প্রদান ঘটা দরকার। এই পাঠশালায় সঙ্গীতের হাতে কলমে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ যেমন শেখান হয়, ঠিক একই ভাবে শিল্পীদের বিভিন্ন নানা মিউজিকাল প্রোজেক্টে নিয়োজিত করা হয়। এতে প্রফেশনাল ফিল্ডে অভিজ্ঞতা বাড়ে।আমার স্টুডেন্টসরা আমারই বিভিন্ন চলচ্চিত্রে,
বিজ্ঞাপনে ও টেলিভিশন এর ধারাবাহিকে গাইছে পেশাদার হয়ে। এটা অত্যন্ত আনন্দের।”

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top