ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বৎসর উপলক্ষে সারা দেশে পালিত হয়েছে ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’। সম্প্রতি, এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে আরও স্মরণীয় করে তোলার জন্য ওয়েসিস ফাউন্ডেশন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ ত্রিগুনা সেন মঞ্চে আয়োজন করেছিল দুদিন ব্যাপী এক গ্লোবাল মিউজিক কনফারেন্স এর। কথায় বলে, দুনৌকায় পা রেখে চলা যায়না। ওয়েসিস ফাউন্ডেশন কিন্তু, তা ভুল প্রমাণ করেছে ! তাই একদিকে যেমন কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালের সামনে রোজ রুগীর বাড়ীর লোকদের দুপুরের ভাত মাত্র ৬ টাকায় খাওয়ায়, অন্যদিকে তুলে ধরার চেষ্টা করে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও বিশ্বের দরবারে ! এই প্রতিষ্ঠান, ইতিমধ্যেই, থাইল্যান্ড, দুবাই প্রভৃতি দেশে আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও ! সেইসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দুই দেশের শিল্পীরাই।
প্রথম দিন জে ডি সুমনের মঙ্গলাচরণ দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু। তারপর অসাধারণ কিছু শ্রুতিনাটক নিয়ে উপস্থিত ছিল কিছু বাচিক গ্রুপ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের গল্পপাঠ, ডক্টর বাসুদেব মুখার্জীর 'থিয়েটার প্রাকটিশনার্স' এর রবীন্দ্রনাথের 'কাবুলিওয়ালা' আর শুভাশীষ ঘোষ ঠাকুর ও আত্রেয়ী ঘোষ ঠাকুরের 'মহিষাসুরমর্দিনী'। ছিল স্বরচিত কবিতাপাঠও।
দ্বিতীয় দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল গুরু অঞ্জনা ব্যানার্জির একক ও সহশিল্পীদের নাচের ভাবনায় ও ছন্দে ভরতনাট্যমের আঙ্গিক ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের মেলবন্ধন। গুরু রাজীব ভট্টাচার্য ও সহশিল্পীদের ওড়িশী নাচের ভাবনায় ও নাচের ভঙ্গিমায় চিরাচরিত ঐতিহ্যের ছাপ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও পন্ডিত নিখিলেশ রায়ের শিষ্য ইন্দ্রজিৎ বসুর বাঁশীর মেঘমল্লারের সুরে নিমেষে যেন বর্ষার আবহাওয়া মঞ্চ জুড়ে ! পন্ডিত জ্ঞ্যানপ্রকাশ ঘোষ ও পন্ডিত প্রসূন ব্যানার্জির সুযোগ্য শিষ্য পন্ডিত প্রবীর ব্যানার্জি অনুষ্ঠানের শুরু করলেন, গুরু জ্ঞ্যানপ্রকাশ ঘোষ রচিত বন্দিশ দিয়ে। তারপর তিনি গাইলেন ভজন। ভজনের সুরে মঞ্চ জুড়ে যেন এক পবিত্রতার ছাপ ! এছাড়াও ছিল বাংলাদেশের শিল্পীদের বিশেষ অনুষ্ঠান। সব শেষে ছিল, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ওয়েসিস ফাউন্ডেশন এর সম্পাদক অরিন্দম বসুর উপস্থিতিতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগের বিজয়ীদের হাতে।