Close

“এমন একটি চরিত্র করতে চাই,যে চরিত্রটি আমার জন্যই লেখা হবে”:স্বস্তিকা

স্বস্তিকা দত্ত

বড়োপর্দায় ডেবিউ,একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র, ফিরিয়ে দিয়েছেন বলিউডের অফার।এখন তিনি সবার ঘরের মেয়ে রাধিকা।চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও আড্ডায় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত সঙ্গে আনন্দ সংবাদ লাইভ -এর প্রতিনিধি পৃথা ঘোষ

প্রশ্নঃঅভিনন্দন,কি কোরে বলবো তোমায় সিরিয়ালের এই সাফল্যের জন্য।

স্বস্তিকাঃ ধন্যবাদ,দর্শকদের জন্য এবং আমাদের টিমের প্রত্যেকের হার্ড ওয়ার্কের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।

প্রশ্নঃ লকডাউনের কারনে লম্বা ছুটিতে ছিলেন,কীভাবে সময় কাটালেন?

স্বস্তিকাঃ কতরকম ভাবে আলসেমি করে দিন কাটানো যায়,আবলতাবল চিন্তাভাবনা করা যায়,এই সব শিখেছি।অনেস্টলি স্পিকিং ,প্রথম এক মাস খুব ভালো লেগেছে,মুখে আলুর খোসা-টোম্যাটো লাগিয়েছি,গান শুনেছি। মাঝে মাঝে ভালো লাগছে না বলে বলে বাবা-মাকে একটু বিরক্ত করেছি কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর শুধু মনে হয়েছে আবার কবে ফ্লোরে ফিরব।

প্রশ্নঃ লকডাউনে দীর্ঘ দিন বাড়িতে আটকা থাকার ফলে অনেকের মধ্যে ফ্রাস্টেশন,নেগেটিভিটি কাজ করেছে,আপনার সাথে এমন কিছু হয়েছে?

স্বস্তিকাঃ দেখো,একেবারে হয়নি এটা বলবো না।সব ঠিক হয়ে যাবে কিনা,আবার কবে বেরোতে পারবো এই বিষয়গুলো কাজ করেছে। আমি মেডিটেশন করেছি।তবে এই সময়টা আমাকে নিজেকে বুঝতে খুব সাহায্য করেছে।

প্রশ্নঃ বড়ো পর্দা থেকে আপনার জার্নি শুরু কিন্তু এখন ধারাবাহিক ভাবে টেলিভিশনে কাজ করছেন।বড়ো পর্দা ছেড়ে টেলিভিশন বেছে নিলেন কেন?

স্বস্তিকাঃ আমাকে সিরিয়ালের ক্ষেত্রে কাজের জন্য কখনো অপেক্ষা করতে হয়নি।কিন্তু সিনেমার ক্ষেত্রে হয়তো হত। ইভেন আমি ভেবেছিলাম কখনো সিরিয়াল করবো না।কিন্তু আমি মনে করি,মাথার ওপর একজন আছেন আমার ভাগ্যে যা লেখা তিনি যেকোনো উপায়ে সেটা করিয়ে নেবেন। তবে কি করে বলবো তোমায় সিরিয়ালের পর আমি একেবারে অন্যরকম কিছু করতে চাই।

প্রশ্নঃএভার গর্জাস স্বস্তিকা ওয়েট লস করলো কেন?
আপনার কী মনে হয় তথাকথিত ছিপছিপে ফিগার না থাকলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে সমস্যা হয়?

স্বস্তিকাঃ একেবারেই না।তুমি কেমন দেখতে এটা সেকেন্ডরি,তুমি কেমন কাজ কর এটা ইম্পরটেন্ট । তবে একদিন প্রিমিয়ার নাইটে নিজেকে স্ক্রিনে দেখে আমার মনে হয়েছিল,এবার নিজের একটু খেয়াল নেওয়া উচিত।এছাড়া আমি একজন অভিনেত্রী স্ক্রিনে আমার প্রেজেন্স ম্যাটার করে।তাই নিজেকে মেইনটেন করা শুরু করেছিলাম, ইট’স পার্ট অব মাই প্রফেশান।

প্রশ্নঃইদানিং আপনার রিল লাইফ হিরো কর্ণ সেন তথা ক্রশাল আহুজার সাথে রিয়েল লাইফ কেমিস্ট্রি নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় বেশ গুঞন শোনা যাচ্ছে,এই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?

স্বস্তিকাঃ ও আমার খুব ভালো বন্ধু। ও খুব সেন্সিবেল ,প্রচন্ড হার্ড ওয়ার্কিং পার্সন।ওর মতো একজন কো-অ্যাক্টারের সাথে কাজ করা ভাগ্যের ব্যাপার।ওর সাথে কাজ করলে তুমি তোমার একশো শতাংশো দিতে বাধ্য।ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বন্ধু নেই।তবে কয়েকজন কাছের মানুষ আছেন তার মধ্যে ক্রশাল একজন। আর এই মুহূর্তে আমরা দুজন এতটাই নিজেদের ক্যারেক্টার নিয়ে ব্যস্ত যে ,কাজের বাইরে আমরা কিছু ভাবতে পারছি না। আর দর্শক যদি আমাদের নিয়ে এতটা ভাবেন ,তাহলে বলবো এটা আমাদের প্রাপ্তি।আমরা কর্ণ- রাধিকাকে এই পর্যায় নিয়ে যেতে পেরেছি যে মানুষ অভিনয়টাকে রিয়েল বলে মনে করছেন।

স্বস্তিকা দত্তক্রশাল আহুজা

প্রশ্নঃএই মুহূর্তে টেলিভিশনে সোলাঙ্কি রায়,পার্ণো মিত্র ,এছাড়া নতুন অনেকেই ভালো কাজ করছেন।আপনি টাফ কম্পিটিটর কাকে মনে করেন?


স্বস্তিকাঃ সোলাঙ্কি দি, পার্ণো মিত্র এদের সাথে নিজেকে তুলনা করা মানে বোকামি করা।আমি কম্পিটিশনে বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি ধীরে-সুস্থে কাজ করব,প্রয়োজনে আমি কম কাজ করব কিন্তু এমন কাজ করব মানুষ আমাকে মনে রাখবে।

প্রশ্নঃ বাংলায় আপনি এখন জনপ্রিয় মুখ।বলিউডে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

স্বস্তিকাঃ আমি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হিন্দি সিরিয়ালের জন্য অফার পেয়েছিলাম কিন্তু আমি করিনি।আমার মনে হয়েছিল,নিজেকে সঠিক ভাবে তৈরি না করে কেবলমাত্র বলিউড থেকে অফার এসেছে বলে কাজটি করা উচিত নয়।তবে এখন আমি হিন্দি শিখছি ,খুব তাড়াতাড়ি ফ্লুয়েন্টলি বলতেও পারবো।ফ্লুয়েন্টলি বলা শিখে গেলে আমি নিজেই ওখানে কাজের চেষ্টা করবো।

প্রশ্নঃলাইট -ক্যামেরা -অ্যাকশান এর আড়ালে স্বস্তিকা চরিত্রটি ঠিক কেমন?

স্বস্তিকাঃ আমি প্রচন্ড ইমোশনাল।আমার জীবনে প্রচুর প্রশ্ন ,মানুষ ইরিটেট হয়ে যায় তাই আমি কম কথা বলি(গলায় হাসির সুর)। আমি মাঝে মাঝে বেশি জটিল হয়ে যাই,অনেক বেশি চিন্তা করি।আমি একা থাকতে পছন্দ করি।

প্রশ্নঃপাঁচ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?

স্বস্তিকাঃ এমন একটি চরিত্র করতে চাই,যে চরিত্রটি আমার জন্যই লেখা হবে। যার জন্য নতুন ভাবে নিজেকে তৈরি করবো।ভবিষ্যতে যদি কেউ সেই প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করতে চায়,তবে আমার অভিনীত চরিত্রে কাউকে কাস্ট করার আগে তাকে যেন পাঁচবার ভাবতে হয়। এছাড়া উইশ লিস্টে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তো আছেই।

প্রশ্নঃ কোনো একদিনের জন্য যদি সুপার পাওয়ার পান তাহলে কী করতে চাইবেন?

স্বস্তিকাঃ মানুষের মাইণ্ড রিড করতে চাইবো।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top