মহুয়া বেগম
হ্যাঁ, তোমাকে বলছি রঞ্জনা
জীবনে আমি পেয়েছি অনেক বঞ্চনা
পিতা তাঁর কলেজ জীবন থেকেই বামপন্থী সংগঠনে
তখন সে পথ ছিল বন্ধুর।পরিবার থেকেছে টেনশনে।
অপর বিপরীত নেতার রুদ্ররোষ।পড়াশুনায় আমি মসৃন পথ পাইনি
মাধ্যমিকে ওয়ার্ক এডুকেশন আর ফিজিক্যাল এডুকেশনে তেমন নাম্বার দেয়নি।
তাই ভুগেছি একটু বিষন্নতায়-
হয়ত তাই গভীর মনোযোগ দিতে পারিনি পড়াশুনায়।
বি.এস.সি. পড়ার সময় রঞ্জনা তোমার সাথে দেখা।
কলেজে তুমি ছিলে আমার সাথী, চাইনি আর বন্ধুসখা।
সাড়ে পাঁচফুট হাইটের তখন তুমি সুন্দরী তরুণী-
তোমার সংস্কারমুক্ত আচরণ আর উদারতা আজো ভুলিনি।
সন্তানের অসুস্থতায় কলকাতায় ফ্ল্যাট ছিল দরকার
টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট দেয়নি প্রমোটার।
নানা মানসিক যাতনা পেয়ে আর দুশ্চিন্তায় সহসা মাথার অল্প গোলমাল
করোনা আবহে যাইনি ডাক্তারের কাছে।বাড়িতে ভুগতে রইলাম
আজ তিনজন ভালোমানুষ ফোন করে ভালো থাকতে বলেছে।
তাদের একজন শিল্পী,একজন ডাক্তার অন্যজন কবি রয়েছে।
এরা তিনজন ভিন্ন রাজনীতির তবুও এরা মানুষ ভালো।
তাই আজ ভালো আছি।আনন্দে দেখছি নতুন আলো।