ইন্দ্রজিৎ আইচ:সম্প্রতি ভগবান শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতা কলা মন্দির মঞ্চে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জগত গুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্মগ্রহন করেন । দুই হাজার কুড়ি ও চলতি বছরের মহামারী ও অতি মারি সঙ্গে প্রশাসনিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিলো প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে উদ্বোধনী নৃত্য, দ্বিতীয় পর্বে ছিলো গুণীজনের বরণ অনুষ্ঠান, গত দুই হাজার কুড়ি সালের কোভিড ১৯ এর ভয়ঙ্কর প্রকোপে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে যে সমস্ত যোদ্ধারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ও সেবা দিয়ে আমাদের বিপদমুক্ত করেছেন তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো। এদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ,নার্স, দমকলকর্মী, পুলিশকর্মী, সাংবাদিক সহ আরো অনেকে।এই অনুষ্ঠানে র আয়োজক জয়শ্রী রায় জানালেন যাদের আমরা আজ এই মঞ্চে ডাকতে পারিনি তাদের জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা রইল। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিলো প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে দুটি নৃত্য গীতি আলেখ্য। ভগবান শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী বিভিন্ন ভাষায় মোট পাঁচ হাজার আঠারো টি সংগীত রচনা করেছেন এবং সুর দিয়েছেন, তার সমস্ত গান প্রভাত সঙ্গীত নামে বিখ্যাত গানের কথা ও সুর সবই তাঁর। নৃত্য গীতি আলেখ্য দুটি যথাক্রমে আনন্দ মূর্তিম্ নমাম্যহম এবং রূপসায়রের অরূপরতন।এই দুটি নৃত্য আলেখ্য এইদিন মঞ্চে পরিবেশিত হয়। দুটি আলেখ্য ই লিখেছেন আনন্দমার্গের বিশিষ্ট সন্ন্যাসী আচার্য দেবকৃষ্ণানন্দ অবধূত ও গ্রন্থনা ও পরিচালনায় জয়শ্রী রায়। দুটি নৃত্য আলখ্যের কোরিওগ্রাফি করেছেন যথাক্রমে দ্রাবিন চট্টোপাধ্যায় এবং সুমনা হালদার, মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যগুরু কোহিনুর সেন বরাট মহাশয়।তার হাত দিয়ে দুটি নৃত্য আলেখ্য র সিডি প্রকাশিত হয়।আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী সন্ন্যাসীনী সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু আনন্দমার্গী ও আনন্দমার্গের সমর্থক রা এসেছেন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে। আশা করি এই অনুষ্ঠানটি বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সকল মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার বিষয় হয়ে থাকবে বলে জানালেন অনুষ্ঠানে র মূল কান্ডারী জয়শ্রী রায়।অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির মধ্যে রয়েছেন, দীপক সরকার (বসিরহাট), বংশীধর দাস (সিউড়ি, বীরভূম), যোগেশ দাস (বর্ধমান), অলৌকিক মন্ডল (আরামবাগ), প্রশান্ত (কানাডা), শশী মিশ্র (বিলাসপুর), এবং রাজকৃষ্ণানন্দ অবধূত। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন জয়শ্রী রায়।