পেশায় চিকিৎসক নেশায় সমাজসেবী ডাঃ মীনাক্ষী গাঙ্গুলি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। ব্যস্ত এই চিকিৎসকের জীবনের মূলমন্ত্র মানুষের জন্য কাজ করা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ গাঙ্গুলিকে সেই সুযোগ দেওয়ায় উনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ চিত্তে সম্পূর্ণ ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সবরকমের সমস্যা দূর করার মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছেন। স্থানীয় তরুণদের কাজের সুযোগ দেবার পাশাপাশি এলাকার বিজ্ঞান ভিত্তিক উন্নতির ব্যাপারে এক কর্মসূচী তৈরি করেছেন।
এক নজরে জেনে নেওয়া যাক আগামী দিনগুলোতে ডাঃ মীনাক্ষী গাঙ্গুলি এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে কী কী ভাবনা চিন্তা করেছেন।
১) পরিবেশ সুন্দর করতে দেশবন্ধু পার্কের সৌন্দর্যায়ন করার ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
ক)এর জন্যে পার্কের গাছ রক্ষা করার পাশাপাশি আরও কিছু গাছ লাগানর পরিকল্পনা আছে। একই সঙ্গে পার্কের ভেতরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে।
খ) নার্সারি তৈরি করা হলে প্রয়োজনীয় গাছের যোগান পেতে সুবিধে হবে।
গ) পার্কের মধ্যে থাকা শৌচালয় ও জল ভাল করে রক্ষণাবেক্ষণের দিকে নজর রাখাতে হবে।
ঘ) পার্ক ও সংলগ্ন অঞ্চলকে প্লাস্টিক ফ্রি করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে দূষণের মাত্রা কমার পাশাপাশি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে। এই ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এখন থেকেই। ওয়ার্ডের সমস্ত ক্লাবগুলোকে ফিজিক্যাল ট্রেনিং দেবার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার জন্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাপারটাকে বাস্তবায়িত করা হবে।
২) অঞ্চলের সমস্ত পানীয় জলের কল, ডিপ টিউবলের জল ফ্লোরাইড মুক্ত কিনা জানার জন্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে উন্নত করতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা নেবার পাশাপাশি দরকারি ওষুধের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ করার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেবার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
৪) ক্যানাল ওয়েস্ট রোড পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি গাছ লাগিয়ে পরিবেশ সুন্দর করার পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের খেলার জন্যে পার্ক তৈরি করা হবে। এছাড়া স্থানীয় মহিলা ও পুরুষদের জন্য কর্মসংস্থানের কিছু পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। যেমন হ্যান্ডিক্র্যাফটের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখী বানানো, ঠোঙা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে অরগ্যানিক চাষ ও তা বিক্রি করার সুযোগ করে স্থায়ী জীবিকার ব্যবস্থা করা হলে অপরাধ মূলক কাজের ঘটনা কমে যাবে। এগুলি ছাড়াও খালপাড়ে পানীয় জলের জন্য ডিপ টিউওয়েল ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে সল্টলেক ও রাজারহাটের সঙ্গে খালপাড়ের অরগ্যানিক ফুড বাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল করা গেলে দুদিক থেকেই সুবিধে হবে।
৫) বস্তির ঘরের পরিবেশের উন্নয়নের ব্যাপারেও জোরকদমে কাজ শুরু করা হবে। বাথরুম ও ঘিঞ্জি পরিবেশ যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন করতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা কররে দেওয়া হবে।
৬) ওয়ার্ডের ইলেকট্রিক লাইন সুসংবদ্ধ ভাবে পুনর্নিমাণ করার পরিকল্পনা আছে। বিশেষ করে বস্তি অঞ্চলে ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার পরিচ্ছন্ন ও আইনি করে তুলতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭) ১২ নম্বর ওয়ার্ডকে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। প্লাস্টিকের ব্যবহারের পাশাপাশি বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যাপারে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে সকলকে বোঝানো হবে।
৮ ) পুরোন ও বিপজ্জনক বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও বাড়িওলা ও ভাড়াটের স্বার্থ রক্ষা করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া ও সরকারকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে রাখার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯) ময়লা পরিষ্কারের ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি থাকবে এবং রাস্তাঘাটে ময়লা জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। দরকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
১০) ১২ নং ওয়ার্ডের কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে নানান পরিকল্পনা করা হবে। তরুণ তরুণীদের কাজে উৎসাহ দেবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় উদ্যোগী অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে সাহায্যের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।