নিজস্ব প্রতিবেদক:শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর কলকাতায় নতুন নয়। কিন্তু ‘নাদ’ এমন এক অভিনব উচ্চমানের মনোজ্ঞ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর যেখানে শ্রোতারা বিরল যুগলবন্দির সুর-তাল-ছন্দে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পন্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসতে চলেছে “নাদ”-এর আসর। গোটা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন পন্ডিত বিক্রম ঘোষ।
![](https://i0.wp.com/anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2024/03/IMG-20240323-WA0021.jpg?resize=1600%2C1022&ssl=1)
‘নাদ’-এর বয়স মোটে তিন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের ঐতিহ্যে নতুন পালক। কিন্তু এই তিন বছরেই কলকাতার মন জয় করে নিয়েছে এই অনুষ্ঠান। এবারে ২৯ থেকে ৩১ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে বসবে ‘নাদ’-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠান করবেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে এবারে থাকছে গজল, কাওয়ালি এবং ফিউশন। উস্তাদ তফিক কুরেশি এবং পন্ডিত বিক্রম ঘোষের ফিউশন-যুগলবন্দি এবারের অন্যতম আকর্ষণ। শেষদিন এই ফিউশন-ম্যাজিকে আপ্লুত হবে কলকাতা।
![](https://i0.wp.com/anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2024/03/IMG-20240323-WA0024.jpg?resize=1024%2C1024&ssl=1)
‘নাদ’-এর দ্বিতীয় দিনে থাকছে পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায় এবং পন্ডিত কুমার বোসের যুগলবন্দি। এই দিনেই থাকছে বিদুষী গায়ত্রী অশোকান এবং পন্ডিত পৃথবী গন্ধর্ব-এর গজল-কাওয়ালি সন্ধ্যা। এই গজল-কাওয়ালি এবারের ‘নাদ’সন্ধ্যায় নতুন সংযোজন। এছাড়া থাকছে পন্ডিত রাজেন্দ্র গঙ্গাইয়ের কত্থক, পদ্মশ্রী গীতা চন্দ্রনের ভারতনাট্যম, বিদুষী অরুণা সাইরাম এবং বিক্রম ঘোষের যুগলবন্দি।
![](https://i0.wp.com/anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2024/03/IMG-20240323-WA0022.jpg?resize=1079%2C1184&ssl=1)
ভারতীয় বিদ্যা ভবন-এর তরফ থেকে জি ভি সুব্রহ্মমনিয়ম এবং বিক্রম ঘোষ দুজনেই চেয়েছিলেন কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে অন্য মাত্রা আনতে। বলা বাহুল্য, কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে ‘নাদ’ সেই নতুন পালক। পন্ডিত বিক্রম ঘোষের কথায়, ” প্রথম বছর থেকেই অভূতপূর্ব সাড়া আমরা পাচ্ছি। আশা করছি এবারেও সেই একইরকম সাড়া আমরা পাব। এবারেও এই অনুষ্ঠানের কোনও টিকিট মূল্য নেই, একেবারে বিনামূল্যে আপনারা টিকিট সংগ্ৰহ করতে পারেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গজল,কাওয়ালি এবং ফিউশনের এক অদ্ভুদ মিশ্রনের সাক্ষী থাকতে চলেছে কলকাতা।”