নিজস্ব প্রতিনিধি:পূর্ব কলকাতা গাঙ্গোর মহোৎসব বেদে রাজস্থানকে বলা হয়েছে মৎস্য রাজ্য। পুরাণ বলে, বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার মৎস্য অবতীর্ণ হন এই মাটিতেই। রাজস্থানের ইতিহাস প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরানো। মাতৃতান্ত্রিক উপাসনার প্রভাবে শিবের সঙ্গে পার্বতীর আরাধনা বাংলার মত রাজস্থানেও প্রচলিত হয়েছে বহুযুগ আগে থেকেই।যা পরিচিত হয়েছে গাঙ্গোর মহোৎসব হিসেবে।
বাংলার নববর্ষের দিন পূর্ব কলকাতার এক ব্যাঙ্কয়েটে পূর্ব কলকাতা মাহেশ্বরী সভা আয়োজন করে গাঙ্গোর মহোৎসব। বারো বছরব্যাপী এই উৎসব হয় তিনদিনব্যাপী।কিন্তু এই বছর উৎসব করোনা বিধি মেনে পালিত হলো দুদিন। এই উৎসব মূলত করেন রাজস্থানী মহিলারা। অবিবাহিতা মহিলারা শিবের মত স্বামী কামনা করে দেবী পার্বতীর আরাধনা করেন।আবার বিয়ের প্রথম বছরে মেয়েরা দেবীকে পুজো দেন তাঁদের মনোবাসনা পূরণ হওয়ার জন্য। বয়স্ক মহিলারা স্বামী সন্তানের মঙ্গল কামনা করে দেবীকে পূজাপোচার নিবেদন করেন।
রাজস্থানী সমাজের ভক্তরা ছাড়াও এই উৎসবে হাজির ছিলেন,বাংলার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।ছিলেন রক্ষক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার চৈতালি দাস,সমাজসেবী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার পক্ষে কিরণ ভূয়েলকা, পোশাকশিল্পী তেজশ গান্ধী, সাংবাদিক দেবোপম সরকার, সঙ্গীত পরিচালক অভিষেক বাসু, সুপার মডেল মাধবীলতা, অভিনেত্রী রায়না গুপ্ত ও মডেল অর্পিতা বোস।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে সভাপতি হেমন্ত মার্দা জানান,শুধু পুজো নয়,সারা বছরই আমরা সমাজসেবামূলক কর্মযজ্ঞ করে থাকি।সংস্থার পক্ষে সভাপতি হেমন্ত মার্দা,সম্পাদক রাজেশ চন্দক ও কোষাধ্যক্ষ ভগবতী মুন্দ্রা উৎসবে হাজির সবাইকে জানান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।