আনন্দ সাংবাদ লাইভ :ভারতীয়রা যে দুটি জিনিস নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেন, তার একটি হল ক্রিকেট। অপরটি সিনেমা।কোভিডের কারণে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা সমস্যা। তাতে কী! ওয়েব সিরিজ আছে না? এখন তো বলিউডের মুভিও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে। অমিতাভ বচ্চনের সিনেমাও যখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হল, সবাই নড়ে চড়ে বসলেন। আসলে ভারতীয়রা সিনেমা দেখার বাইরে থাকতেই পারেন না। সিনেমা দেখা এবং আলোচনা করার আগ্রহ কোনওদিন কম হবে না। এই আগ্রহকে মাথায় রেখেই নিজেদের শতবর্ষে জর্জ টেলিগ্রাফ শুরু করল ফিল্ম অ্যান্ড টেকনিশিয়ান ইনস্টিটিউট।সংক্ষেপে‘জিটিএফটিআই’। মানে, ‘জর্জ টেলিগ্রাফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট।’রূপোলি পর্দা মানেই ঝকঝকে স্বপ্নের দুনিয়া। আর এই স্বপ্ন মানে, চলচিত্র জগতের সদস্য হয়ে ওঠার বাসনা। আর তার সঙ্গে যুক্ত হলেন, জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক সৃজিৎ মুখার্জি। স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখি, কিন্তু তা বাস্তব করে করে তোলার সঠিক দিশা পাই না। সেই দিশা দেখানোর দায়িত্ব নিল জর্জ টেলিগ্রাফ সংস্থা। যারা বিগত একশত বছর ধরে সাধারণ মানুষের জীবন গড়ে তোলার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। তারাই এবার তৈরি করবে সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার যাত্রাপথ।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে উঠে আসবেন নতুন অভিনেতা। নির্দেশক, সম্পাদক এবং অভিনয় জগতের গ্ল্যামার দুনিয়ার বিভিন্ন কলাকুশলী। এই সংস্থার প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে যাঁর নাম যুক্ত হয়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, নিজেদের ফিল্ম অ্যান্ড টেকনিশিয়ান ইনস্টিটিউটকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাইছে দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন রূপকার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত নির্দেশক শ্রী সৃজিৎ মুখার্জি যুক্ত হয়েছেন প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে।
নির্দেশনা বিভাগের প্রধান হয়েছেন, অতনু ঘোষ। আর সম্পাদনা বিভাগের প্রধান বিখ্যাত রবি রঞ্জন মৈত্র।
‘গুমনামি’, ‘অ্যমাজন অভিজান’, ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ সহ একাধিক বাংলা ছবির চলচ্চিত্রগ্রাহক সৌমিক হালদার হয়েছেন, চলচ্চিত্র গ্রহণ শিল্পের বিভাগীয় প্রধান।
এছাড়া ‘ডিন অব ফ্যাকাল্টির দায়িত্বে থাকছেন, বিপ্লব দাশগুপ্ত। যিনি একাধারে একজন অভিনেতা, নির্দেশক এবং লেখক।জিটিএফটিআই এর সম্পূর্ন প্রশাসনিক কর্নধার হিসেবে থাকছেন শ্রীমতি তুহিনা পাণ্ডে। যাঁর সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে করে তুলবে সমৃদ্ধ, আত্মবিশ্বাসী এবং স্বনির্ভরশীল।এই নামী দামী ব্যক্তিত্বরা জিটিএফটিআই–এ যুক্ত হওয়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই চলচ্চিত্র শিল্পে আগ্রহী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।