![](https://i0.wp.com/www.anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2020/08/IMG-20200824-WA0000-1.jpg)
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলা খুব স্বাভাবিক সবাইকে ভাবাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ২টি পদ্ধতি:
১. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ফেস মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, ইত্যাদির দরকার মতো সঠিক ব্যবহার করা
২. সব মানার পর-ও যদি কোনোভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে চিকিৎসা খরচ খুব কম হবে না। অর্থাৎ দরকার একটি সুগঠিত আর্থিক পরিকল্পনা। এই বিষয়ে জানালেন সুরজিৎ কালা, বিশিষ্ট ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার।
আপনার যদি ইতিমধ্যেই একটি হেল্থ ইন্সুরেন্স থেকে থাকে কিন্তু তার যদি সাম ইন্সিওর্ড -এর পরিমান খুব বেশি না হয় তাহলে রিনিউয়াল না আসা পর্যন্ত আপনি এখনই সাম ইন্সিওর্ড -এর পরিমান বাড়াতে পারবেন না। তাছাড়াও ইন্সুরেন্স কোম্পানি হয়তো সমস্ত চিকিৎসা খরচ নাও দিতে পারে, অর্থাৎ কিছু খরচের ওপর ক্যাপিং থাকতে পারে। তাই সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট এর তরফ থেকে প্রচলিত হলো “করোনা কবচ” , এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।
- সর্বনিম্ন সাম ইন্সিওর্ড -এর পরিমান এই পলিসি তে ৫০,০০০ টাকা এবং সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, ৫০,০০০ টাকার গুণিতক হিসেবে।
- ১৮-৬৫ যে কেউ এই পলিসিটার প্রোপোসর হতে পারেন এবং পলিসিটির মধ্যে ১-২৫ বছর পর্যন্ত নিজের ছেলে মেয়েকে যোগ করা যাবে।
- অন্য পলিসিসর মতো এই পলিসিতে কোনো কাপিং/ সাব-লিমিট নেই আই. সি. ইউ., আই. সি. সি. ইউ., বেড রেন্ট, ডাক্তারের খরচ, ওষুধ, ও.টি. চার্জ, সার্জিক্যাল চার্জ, অক্সিজেন, আনাস্তাসিয়া চার্জ, ব্লাড, ডায়াগনসিস চার্জ, এমনকি পি. পি. ই, ইত্যাদি সমস্ত কিছুই এই পলিসির অধীনে পরবে।
- একমাত্র সাব-লিমিট থাকবে আপনি যে পরিমান টাকা আপনার সাম ইন্সিওর্ড হিসেবে নিচ্ছেন তার ওপর। সাম ইন্সিওর্ড-এর পরিমানের উর্দ্ধে টাকা আপনি ক্লেম করতে পারবেন না।
- এই পলিসির মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার ১৫ দিন আগের চিকিৎসা খরচ ও ডিসচার্জের পর ৩০ দিনের চিকিৎসা খরচ পাওয়াও সম্ভব।
- আপনি যদি বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করেন তার ১৪ দিনের খরচ-ও এই পলিসি দিয়ে দেবে। আপনাকে টেস্ট টা করতে হবে কোনো একটা গভর্নমেন্ট স্বীকৃত সংস্থা থেকে। আপনি যদি ডাক্তার বা নার্স রাখেন তার খরচও দিয়ে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র তাদেরকে গভর্নমেন্ট দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে।
- ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, ইত্যাদি কোমরবিড -এর ক্ষেত্রেও কিন্তু পলিসি করতে পারবেন।
- হেল্থ কেয়ার কর্মী দেড় জন্য ৫% প্রিমিয়াম ডিকোনত আছে।
- ৩.৫ মাস, ৬.৫ মাস ও ৯.৫ মাস এই তিনটি টার্মের মাধ্যমে এই পলিসিটি উপলব্ধ হবে।
- কোনো মেডিকেল টেস্ট করানোর প্রয়োজন হয়না এই পলিসিটা লাভ করার জন্য।
- ক্যাশলেস / রেইমবার্সমেন্ট দুই পদ্ধাতিতেই সুবিধা লাভ করা যাবে।
- পলিসিটি নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে যদি আপনার করোনা ধরা পরে তাহলে আপনি পলিসিটির সুবিধা লাভ করতে পারবেন না সেক্ষেত্রে।
- ৮০ডি ট্যাক্স বেনিফিট -ও পাওয়া যাবে এই পলিসির দ্বারা
একটা ছোট্ট হিসেবে করে দেখা যাক। যদি আপনার বয়স ২০ বছর হয় ও আপনি ৩.৫ মাসের জন্য পলিসিটা নেন তাহলে আপনার প্রিয়মিয়াম দিতে হবে ১৫৫ টাকা ৫০,০০০ টাকা সাম ইন্সিওর্ড -এর জন্য এবং ৬৭৫ টাকা ৫ লক্ষ টাকা সাম ইন্সিওর্ড-এর জন্য। আবার আপনার বয়স যদি ৬৫ হয় তাহলে আপনাকে প্রিমিয়াম দিতে হবে ১,১৭৫ টাকা ৫০,০০০ সাম ইন্সিওর্ড-এর জন্য ও ৪,৭৮০ টাকা ৫ লক্ষের জন্য।
আবার ৯.৫ মাসের জন্য যদি আপনি নেন, আর আপনার বয়স যদি ৬৫ হয় তাহলে আপনাকে ওয়ান টাইম প্রিমিয়াম দিতে হবে মাত্র ৮,৩৭০ টাকা।
অতয়েব বোঝাই যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। এবং আপনার স্বাস্থ্য ও সেভিংস কে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই দরকার “করোনা কবচ”।