বর্তমানে দেবাশীষ রায় একজন পরিচিত মুখ বাচ্চা শ্বশুর, ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি, সুইজারল্যান্ড, দ্বিতীয় পুরুষ ইস্কাবনের রানি -এর মতো বাংলা ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও এম.এক্স. প্লেয়ারে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সৌমিক সেন পরিচালিত হিন্দি ওয়েব সিরিজ নাকাব -এও তাকে দেখা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে মল্লিকা শেরাওয়াত গৌতম রোডে ও ইশা গুপ্তার সাথে। এছাড়াও তার অভিনীত বেশ কিছু হিন্দি ছবি মুক্তির জন্য অপেক্ষা । এর মধ্যেই শুটিং শুরু হয়েছে অনীক দত্তের ছবি অপরাজিত। কিন্তু এসব ছবির থেকে বেরিয়ে এসে একটি ছবির দিকেই তার মন যেন বারবার করে উতলা হয়ে উঠছে। সেই ছবির নাম “রেট্রিবিউশন” যার পরিচালক কৌশিক দাস।
এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। সেই অভিজ্ঞতার কথাই তিনি জানালেন আমাদের সকলকে।
ছবিটার স্টোরি টেলিং ছবিটার সাসপেন্স মজার সমস্তটাই রয়েছে ছবির ন্যারেটিভের উপরে।
ছবিটি সম্পূর্ণ কমার্শিয়াল অ্যাপ্রোচে দেখানো হলেও এর আর্ট এর দিক গল্পের সম্পূর্ণ সেট ডিজাইন অনেকাংশেই ছবিটিকে আলাদা ভাবে মানুষের সামনে পৌঁছতে সফল হবে এটা আমার বিশ্বাস।
সম্পূর্ণ ছবির প্রোডাকশন টিমে চারজন বাদে সকলেই ছিল অনবিজ্ঞ এই চলচ্চিত্র দুনিয়ার বিষয়ে। অনভিজ্ঞ অর্থাৎ যদিও তারা যে-সে মানুষ নয়, কেউ রয়েছেন এডভোকেট কেউ রয়েছে তার নিজস্ব প্রফেশনে দৃঢ় স্থায়ী মানুষ। তবে চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকে সকলেই নিজেদের যথাযথভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন এই ছবিতে। অবাক করা বিষয় যদি আমি বিষয়টির না জানতাম তাহলে সত্যিই তাদের ডেডিকেশন দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না যে এনারা এই চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত নন তার উপর এটি একটি প্রোডাকশন টিম হিসেবে তাদের প্রথম কাজ।
ছবির বিষয় বলতে গিয়ে অবশ্যই বলতে হয় এই ছবির বিশেষত্ব হল এর ন্যারেটিভ। এই গল্পটি যেভাবে মানুষের সামনে বলার চেষ্টা করা হয়েছে সেটা সত্যিই ছবিকে বাকি অন্য কোন ছবি থেকে আলাদা করে দেয়।
গল্পের মূল বিষয় হলো সাইন্স ফিকশন। যদিও আমরা সাইন্স ফিকশন কে আনতে খুব কমই দেখেছি।
তবে ভারতে অন্যান্য ভাষায় কয়েকটি কয়েকটি সাইন্স ফিকশন আমরা দেখেছি।
বাংলাতেও সত্যজিৎ রায়ের গল্পের উপর নির্ভর করে “প্রফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো” ছবিতে সাইন্স ফিকশন তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর বেশি এগিয়ে গিয়ে প্রোডাকশন ভ্যালুর কথা মাথায় রেখে সায়েন্স ফিকশন কে আনা হয় না। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে “রেট্রিবিউশন” ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভাবে তৈরি করার ক্ষেত্রেও তার সাবজেক্ট হয়ে উঠেছে সাইন্স ফিকশন।
ছবির কনটেন্ট নিয়ে আমি এই প্রথমবার মুখ খুলছি বলা ভালো মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি।
ছবিটিকে আরো অনেকাংশে বাকি ছবির থেকে আলাদা ও বেশ চমকপ্রদ করে তোলে এই ছবির গল্পের যাত্রাপথ। গল্প যেমন এগোয় সে ভাবে সাইন্স ফিকশন এর পাশাপাশি রেপ পানিশমেন্ট এর উপরেও একটি ঘটনা চলতে থাকে এই ছবির প্রেক্ষাপটে। এই দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন কম্বিনেশন একসঙ্গে একটি ছবিতে পাশাপাশি চলার যে নজীর রেখেছেন পরিচালক তাতে আমার বিশ্বাস “রেট্রিবিউশন” দর্শকের নজর কাড়বেই।
এবার বাকি সমস্তটাই রয়েছে দর্শকদের উপর অর্থাৎ বাকিটুকু বলবেন আপনারাই।
ধন্যবাদ।