![](https://i0.wp.com/www.anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2021/07/IMG-20210724-WA0009.jpg)
✍️ প্রিয়রঞ্জন কাঁড়ার
“The star is a reflection in which the public studies and adjusts it’s own image of itself… The social history of a nation can be written in terms of its film star.” (From ‘Films and Feelings’ by Raymond Dwrgant)
ঠিক এভাবেই বাঙালির চিরন্তন আত্ম-জিজ্ঞাসা এবং উত্তমের স্টারডমের সমাপতন ঘটেছে। বাঙালির চেতনার গভীরে স্টারডমের একমাত্র পার্সোনিফিকেশন উত্তমকুমার। তাই সত্যজিতের নায়কও উত্তমই।
১৯৪৭-১৯৮০ এই ৩৩ বছরের জার্নির প্রথম সাতটা বছর শুধুই পাহাড়-প্রমাণ ব্যর্থতার ভগ্নস্তূপ। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ছবিটি থেকেই এক অন্য রূপকথার শুরু। আর সেই রূপকথার প্রতিটি পরতে উত্তম-ডিকশনের গাঢ় ছাপ।
![](https://i0.wp.com/www.anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2021/07/IMG-20210724-WA0010.jpg)
পণ্য-সংস্কৃতির সুনির্দিষ্ট ফর্মুলায় শিল্প-বাস্তব ও স্বপ্ন-বাস্তবের মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য রক্ষা। বাংলা সিনেমার অসংগঠিত ক্ষেত্রে কোনওরকম সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ছাড়াই সম্পূর্ণ স্বোপার্জিত গনগনে সাফল্য।
অগ্রদূতের বিভূতি লাহা যখন ‘অগ্নি পরীক্ষা’ ছবির জন্য উত্তম-সুচিত্রাকে কাস্ট করেন, ইন্ডাস্ট্রির লোকজন হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। পূর্ব-বঙ্গীয় উচ্চারণ ও ঘনঘন সংলাপ ভুলে যাওয়ার কারণে সুচিত্রাকে তখন ‘মাকাল ফল’ বলা হতো। অন্যদিকে বক্স অফিসের পাটীগণিত উত্তমকে ‘ফ্লপ মাস্টার’ শিরোপা দিয়েছিল।
![](https://i0.wp.com/www.anandosangbadlive.com/wp-content/uploads/2021/07/IMG-20210724-WA0011.jpg)
সেই জায়গা থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা বাণিজ্যিক ছবির নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন ওই দু’জন। অতুলনীয় স্ক্রিন-পার্সোনালিটি, ভুবন ভোলানো হাসি আর মধ্যবিত্ত বাঙালির সুখ-দুঃখের অনুভূতি, বিশ্বাস ও মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে একাত্মতা। এই তিন অস্ত্রেই বাঙালিকে ঘায়েল করেছেন উত্তম কুমার। আবার এর কুফলও ভোগ করেছে বাংলা সিনেমা। শুধুমাত্র উত্তম বা সুচিত্রার নামে বাণিজ্য-বৈতরণি পার হওয়া যায়, এই বিশ্বাস থেকেই বহু দুর্বল পরিচালনা ও দুর্বল চিত্রনাট্য সমালোচনার আওতায় আসেনি। তাতে সিনেমার গুণগত ক্ষতির পারদ চড়েছে ক্রমাগত।
আজ মহানায়কের প্রয়াণ-বার্ষিকীতে সশ্রদ্ধ প্রণাম ও ভালোবাসা।