
আনন্দ সংবাদ লাইভ :উচ্চ মাধ্যমিক ২০২০ পরীক্ষায় আল- আমীন মিশন,খলতপুর শাখার ছাত্র সফিউদ্দিন লস্কর রাজ্যের মধ্যে সম্ভাব্য ১৩ তম স্থান দখল করলো ৪৮৭ নম্বর (৯৭.৪%) পেয়ে। দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রের ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম লক্ষ্মীনারায়নপুরের ভূমিপুত্র সফিউদ্দিন। বাবা-মায়ের তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান সফিউদ্দিন এবং যার হাত ধরে তার পরিবারে প্রথম শিক্ষার আলোর প্রবেশ। বাবা সুজা উদ্দিন লস্কর বর্তমানে ছোটখাটো ব্যবসায়ী। অতীতের একটা সময় দারুণ অর্থাভাব তাঁকে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মূল কারন হয়ে দাঁড়ায়। সে যন্ত্রণা তিনি আজও বয়ে বেড়ান।আর তাই নিজের সন্তানদের কোনও মূল্যেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে চান না,শিক্ষার অভাব বুঝতে পারা এই মানুষটি।মা সাফিজা বিবি গৃহকর্মী । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ফল প্রকাশের পর সফলতার খবরে আনন্দ অশ্রু সজল চোখে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে সফল এই ছাত্রের বাবা-মা সহ তার পুরো পরিবার। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গ্রাম জুড়ে খুশির বন্যা বয়ে যায়।
আল-আমীন মিশনের এই কৃতী ছাত্র আগামী দিনে ডাক্তার হওয়ার মধ্য দিয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় । জেলার দুস্থ সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যপরিসেবা পৌঁছে দেয়ার মধ্য দিয়ে মানব সেবার ইচ্ছা প্রকাশ করে এই কৃতী সন্তান ।
বাংলার এই কৃতী সন্তান তার সফলতা অর্জনের কৃতিত্ব প্রথমত বাবা-মা দ্বিতীয়ত আল-আমীন মিশন কে দিতে চায়।
এবং নিজেকে গর্বিত মনে করে বাংলার সফল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-আমীন মিশনের ছাত্র হিসাবে।তার কথায় ‘এমন রেজাল্ট কখনো সম্ভব হতোনা মিশন ছাড়া’।এবং আগামী প্রজন্মের কাছে তার বার্তা ‘প্রচেষ্টার বিকল্প কিছু হতে পারে না ‘। বর্তমানে সফিউদ্দিন আগামীর ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আল-আমীন মিশন এ মেডিকেল কোচিং এ ক্লাস শুরু করেছে।
আমারা ‘আনন্দসংবাদ লাইভ’ এর তরফে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনার পাশাপাশি কামনা করি সে যেন আগামী দিনে একজন ভালো ডাক্তার হওয়ার সাথে ভালো মানুষ হয়ে উঠুক।