নিজস্ব প্রতিনিধি:এবারে থ্রিলারে মোড়া নতুন ছবি শ্যাডো। পরিচালনার দ্বায়িত্বে রয়েছেন পরিচালক অতিউল ইসলাম। রহস্যে আর মার্ডারের বেড়াজালে নতুন গল্পের সূচনা শ্যাডো। শহরের এক ফ্ল্যাটে আবির ও রিয়ার লাশ পাওয়া যায়। ইন্সপেক্টর কবীর এই কেসের তদন্ত শুরু করে। আবির একজন পঙ্গু , তিরিশ বছর বয়সী ছেলে, রিয়ার বয়স পঁচিশ হবে। তারা একসঙ্গে থাকে। এক দুর্ঘটনায় ওদের দুজনের বাবা মা মারা যায়। বাড়িতে একজন চাকর থাকে। আবির রিয়াকে ভালোবাসে। রিয়া আবিরকে ভালোবাসে না। রিয়া অনিক নামে একজনকে ভালোবাসে। তারা এক অফিসে কাজ করে। অফিসের বস প্রবীর সেন তাদের এক কাজে বাইরে পাঠায়। সেই কাজ থেকে ফিরে এসেই এই বিপত্তি। পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করে তখন জানা যায় অনিক সেই রাত্রে আবিরের বাড়ি এসেছিল। তখন থেকেই অনিক বেপাত্তা। এবং আরও জানা যায় অনিকের ওই অফিসের একজন মেয়ে দেবযানীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। দেবযানী গর্ভবতীও হয়েছিল। অনিকের বাচ্চা তার গর্ভে ছিল। দেবযানী সেই বাচ্চা নষ্ট করেছে। রিয়া পরে জানতে পেরেছিল। এদিকে আবির জানতো অনিকের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক আছে। এবং তারা বিয়ে করতে চায়।যা কোনোভাবেই আবির মেনে নেয়নি। আবার বাড়ির চাকর সেইদিনই বাড়ি গিয়েছিল। আবির নাকি তাকে ছুটি দিয়েছিল। ফলে কবীরের কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে দাঁড়ায়। আবির, অনিক,দেবযানী, চাকর- কে দোষী। তদন্ত শুরু হয়। আসতে আসতে আরও জট তৈরি হয়।
কিন্তু সবশেষে দোষী কে কবীর খুঁজে বের করে। প্রবীর সেন খুন করেছে। প্রবীর সেনের চোখ ছিল রিয়ার উপর। কিন্তু রিয়া তাকে পাত্তা দেয়নি। উপরন্তু অনেক বড় অপমান করে। যা প্রবীর সেনের প্রেস্টিজে চরম আঘাত আসে। কারণেই সুযোগ বুঝে সে এমন করেছে। পুলিশ যখন তাকে ধরতে আসে প্রবীর সেন অফিসেই বসে থাকে। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সে মারা যায়। জানা যায় সে এক ধরণের মৃত্যুর ঔষধ খেয়েছিল। ছবিতে অভিনয় করছেন অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জি, দেবরাজ মুখার্জি, মুখার্জি,তন্ময় দাস,ঈশিকা বল, আরিন্দ্য ব্যানার্জি, সানন্দা সরকার, সায়ন্তনী ব্যানার্জি। রি এন্টারটেনমেন্ট এর ব্যানারে মুক্তি পাবে এই ছবিটি।