নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ জগদ্ধাত্রীপুজোর নবমী। শেষ হেমন্তের মধ্যেই বাঙালীর উৎসব চলছে জোরদার, আর সেই আমেজকেই আরও জাঁকজমকে ভরিয়ে তুলতে চন্দননগরের মধ্যাঞ্চলে নারায়ণা হেলথের অভিনব উদ্যোগ, একটি লেজ়ার শো। চার দিন ব্যাপী এই লেজ়ার শোয়ের থিম ‘মনে রেখো’। একই থিম বেছে নেওয়া হয়েছে পুজোর মণ্ডপের জন্যও। যে লেজ়ার শোয়ের মাধ্যমে পুরাণের নানা গল্পের সঙ্গেই অঙ্গদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বার্তাকে তুলে ধরা হয়েছে।
‘মনে রেখো’ একটি নতুন ধরনের উদ্যোগ। শহরের বুকে অঙ্গদানের সচেতনতা প্রচারের উদ্দেশ্যে এই ধরনের প্রচারাভিযান আগে দেখা যায়নি। সমস্ত পরিকল্পনা ও ভাবনায় ছিল নারায়ণা হেলথ্। এই লেজ়ার শোয়ের মাধ্যমে অঙ্গদানের মাধ্যমে যাঁরা জীবনদান করেছেন কোনও মানুষকে, তাঁদের ত্যাগ ও সাহসকে কুর্ণিশ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে অঙ্গদানে এগিয়ে আসার জন্য। ১৯ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর, সন্ধ্যে ৬টা থেকে চন্দননগরের মধ্যাঞ্চলে সন্ধে নামতেই দেখতে পাওয়া যাবে এই অভিনব উপস্থাপনা, যা বাংলার সংস্কৃতির উদযাপনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামাজিক সচেতনতার গড়ে তোলারও এক অন্য ধারার প্রচেষ্টা। অনুষ্ঠানটির ভাষ্যপাঠ করেছেন মীর। স্বভাবতই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব চোখ টেনেছে আমজনতার।
কিন্তু কেন এমন উদ্যোগ নিয়েছে নারায়াণা হেলথ্? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে কোনও একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে অঙ্গদানের গুরুত্বকে দর্শকদের মনে গেঁথে দেওয়াই মূল লক্ষ্য এই লেজ়ার শোয়ের। সেই সঙ্গে শোয়ের এই মনকাড়া গল্পের মধ্যে ফুটে ওঠা অঙ্গদান এবং প্রাণ বাঁচানোর বার্তা, উদ্বুদ্ধ করবে দর্শকদের, যাতে তাঁরাও কারও জীবনের আশার প্রদীপ হিসেবে দেখা দিতে পারেন। কেউ এই উদ্যোগ ও প্রক্রিয়ার অংশ হতে চাইলে নারায়ণা হেলথের ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করিয়ে অঙ্গদানের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন। নোটো-র মাধ্যমে অস্ত্রোপচার নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে পরিচয় ও যোগাযোগের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে এর পরেই।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে নারায়ণা হেলথের গ্রুপ সিওও আর ভেঙ্কটেশ জানান, “আমরা বিশ্বাস করি ‘মনে রেখো’ শুধু যোগাযোগ স্থাপনেরই কাজ করবে না, সেই সঙ্গে মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে অঙ্গদানের মতো মহান কাজের উদ্দেশ্যে নিজেদের ব্রতী করতে। এই লেজ়ার শো’টি আসলে কাজে এগিয়ে আসার ডাক। যা সবার কাছে আর্জি রাখছে অঙ্গদানে অংশ হওয়ার পাশাপাশি মানুষকে সাহায্য করার এই উদ্যোগের সামিল হতে। এই সব মানুষ অন্য কোনও মানুষের আশার আলো হয়ে উঠতে পারবেন, এবং ভবিষ্যতে সেই মানুষের মধ্যে দিয়ে তিনিও জীবিত থাকবেন বহু দিন।”