নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মতো জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নততর চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যব্যবস্থা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে। কিছু অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল চিকিৎসা বাদ দিলে, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, শল্যচিকিৎসা র ক্ষেত্র গুলি তে স্বাস্থ্যসাথি কার্ড এর মতো ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা কে অনেক সুলভ করে তুলেছে। এছাড়া আগে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন রোগী বা রোগীর পরিবার কে ঋণী করে দিয়ে যেতো- এখন তার থেকেও বেরিয়ে আসা গেছে। রোগী এবং সকল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী দের উচিত এই সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের সাহায্যে এবং সুযোগ নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে নিরলস ব্রতী হওয়া। এই মন্তব্য করেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একটি অগ্রণী বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার। রবিবার তিনি হুগলী জেলার প্রথম ক্যাথল্যাব উদ্বোধন করতে এসে এ কথা বলেন। তিনি বলেন যে বেসরকারি হাসপাতাল গুলি লাভজনক ভাবে চললেই আরও উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়া যাবে, এবং দীর্ঘমেয়াদে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী রা উপকৃত হবেন। এ নিয়ে কোনও ঢাকঢাক গুড়গুড় করে লাভ নেই।
এদিন ‘সেভেন রেঞ্জার্স হসপিটাল’-এর সৌজন্যে হুগলি জেলায় চালু হল প্রথম ক্যাথ ল্যাব।
ভারত সেবাশ্রম সংঘ-র প্রবীণ সন্ন্যাস স্বামী সংযুক্তানন্দ মহারাজ, স্বনামধন্য চিকিৎসক ডাঃ কুনাল সরকার, ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, হাসপাতালের চার অংশীদার ডাঃ মনোজকুমার পাল, ডাঃ শুভাশিস সাহা, ডাঃ অজয়কুমার বিশ্বাস ও ডাঃ নির্মাল্য নাগ-এর উপস্থিতিতে ক্যাথ ল্যাব-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
বলে রাখা ভালো, হুগলি জেলার দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ে-র গোবরা ক্রসিং-এর কাছে অবস্থিত এই বেসরকারী হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাব হওয়ার ফলে উপকৃত হবেন জেলার এক বড়ো অংশের জনগণ।
ক্যাথ ল্যাব উদ্বোধনের পর ডাঃ কুনাল সরকার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “গত এক বছরে পশ্চিমবঙ্গে অনেকগুলো ক্যাথ ল্যাব গড়ে উঠেছে। যদিও হুগলি জেলায় কোনো ক্যাথ ল্যাব ছিল না। এই ক্যাথ ল্যাব গড়ে ওঠার ফলে জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই লাভবান হবেন।”
অপরদিকে ক্যাথ ল্যাব উদ্বোধনের প্রাক্কালে হাসপাতালে অন্যতম অংশীদার তথা ব্যবস্থাপক নির্দেশক ডাঃ মনোজকুমার পাল জানান, ” এ গ্রেড হাসপাতাল না হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুযোগ পাওয়া যায় না। সেভেন রেঞ্জার্স হসপিটাল যেহেতু বি গ্রেড বিশিষ্ট হাসপাতাল, তাই এই মুহুর্তে এখানে ক্যাথ ল্যাব-এর পরিষেবা নিতে হলে নগদে বা অন্য প্রকারে নিতে হবে।”
বিধায়ক কল্যান ঘোষ বলেন উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াও চিকিৎসক দের উচিত রোগীর মনে সাহস জোগানো, তাদের মনোবল বাড়ানো। রোগ নিরাময়ে এটাও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প যেখানে শুধুমাত্র দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের জন্য, এ রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী সেখানে সমস্ত মানুষের জন্য।