আনন্দ সংবাদ লাইভ:২০২০ সালে আরও এক নক্ষত্রপতন চলচ্চিত্র দুনিয়ায়। চলে গেলেন হলিউডের বর্ষীয়ান তারকা শন কনারি। তিনি হলিউডের প্রথম জেমস বন্ড হিসাবেই পরিচিত সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় গত কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন সাতটি জেমস বন্ড ফিল্মে অভিনয় করা এই অভিনেতা। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। অগস্টেই নিজের জন্মদিনে সেলিব্রেট করেছিলেন এই স্কটিশ তারকা।
১৯৬২ সালে ডক্টর নো সিনেমার মধ্য দিয়ে বন্ড-এর দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শন কনারি।সেই থেকে সিরিজের প্রথম পাঁচটি ছবিতেই বন্ড হয়েছিলেন তিনি। তার পরের ছবিগুলো ছিল ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ (১৯৬৩), ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) ও ‘ইউ অনলি লিভ টুয়াইস’ (১৯৬৭)।
বলা হয়ে থাকে, বন্ড সিরিজের উন্মাদনা আর ব্র্যান্ড ভ্যালু শনেরই তৈরি। অন্য বন্ডরা সেটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রথম পাঁচটি ছবির পরও ১৯৭১ ও ১৯৮৩ সালে ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ও ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেইন’ ছবিতে আবারও বন্ড হিসেবে দেখা দেন তিনি। বন্ড সিরিজের এই সাত ছবিই বাণিজ্যিকভাবে সফল।
জেমস বন্ডের চরিত্রের জন্যই তিনি পরিচিত হলেও ১৯৮৮ সালে তিনি ‘দ্য আনটাচেবল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে অস্কার পুরস্কার জেতেন শন কনারি।এই সিনেমায় তিনি আইরিশ পুলিশ কর্তার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও মেরিন, ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড, দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর, ড্রাগনহার্ট, দ্য রক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তারকা।
একবার অস্কার ছাড়াও তিনবার গোল্ডনে গ্লোব এবং দু’বার বাফটা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে শন কনারি। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ তাঁকে নাইটহুড সম্মান দেন।
শনের ৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগে প্রকাশিত হয়েছিল একটি সমীক্ষার ফল। অনেকেই তো অভিনয় করলেন বন্ডের চরিত্রে। শ্রেষ্ঠ বন্ড কে? শ্রেষ্ঠ বন্ড হয়েছেন শন কনারি। তাঁর কাছে হেরেছেন রজার মুর, পিয়ার্স ব্রসনান, ড্যানিয়েল ক্রেইগের মতো বন্ডেরা।৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন শন কনারি।৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন টিমথি ডাল্টন।২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন পিয়র্স ব্রেনসন।সম্ভবত সেটিই ছিল কনারির জন্মদিনের সেরা উপহার।
তাঁর মৃত্যুতে যেন একটি অধ্যায় শেষ হল।