নিজস্ব প্রতিনিধি:কলকাতার অন্যতম ওড়িশি নৃত্য সংস্থা সৃজন ছন্দ ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগীতায় শুক্রবার কলকাতার জ্ঞান মঞ্চে নিউ নর্মাল অবস্থায় সরকারি সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে ‘হে মোর দেবতা’ নামাঙ্কিত একটি মনোজ্ঞ ওড়িসি নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্বাগত ভাষণ দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়রী মুখার্জী। এর পর মূল নৃত্যানুষ্ঠান ‘হে মোর দেবতা’ অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রোডাকশনের বিষয় ভাবনা ও নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্যগুরু শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য।
‘হে মোর দেবতা’ রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলি’ কে আধার করে এবং বেদ ও উপনিষদের মন্ত্রোচ্চারণে ঋদ্ধ হয়ে রচিত অসাধারণ একটি উপস্থাপনা। প্যান্ডেমিকের পর এই প্রোডাকশান যথাযথ। এই উপস্থাপনা একাধারে চিত্তাকর্ষক এবং বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করতে সমাজকে শক্তি যোগায়। এই অনুষ্ঠান দর্শকদের মধ্যে সদর্থক প্রতিক্রিয়া তৈরী করে
নৃত্য ভাবনা এবং পরিকল্পনা নৃত্যগুরু শ্রী রাজীব ভট্টাচার্যের। স্ক্রিপ্ট এবং কথনে শুভদীপ চক্রবর্তী, সংগীত আয়োজনে সুমন সরকার। নৃত্যশিল্পীরা তৃষা দাস মন্ডল, রঞ্জাবলী দে, সৃঞ্জয়ী ছেত্রী, কমলিকা বোস, রুশিতা কর্মকার, অঙ্গনা বোস, শ্রীতমা কর্মকার, সকলের পরিবেশনা নজর কাড়ে।
সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় ড.প্রতীক দাশগুপ্ত, শ্রী অরিন্দম বোস, শ্রী অয়ন ব্যনার্জী, শ্রী নৌশাদ মল্লিক, শুভদীপ চক্রবর্তী, সুমন সরকারকে।এদিন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল ‘সস্রজা’। এই পর্ব ওড়িশি নৃত্যশৈলীর মাধ্যমে প্রাচীন এক পবিত্র ধারা গুরু-শিষ্য পরম্পরার সাক্ষ বহন করে। এই পর্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার স্পর্শ দিয়ে এক মাল্য রচনা করে।
‘বিষ্ণু বন্দনা’ পরিবেশন করেন সুমনা দাস ভট্টাচার্য, ‘স্থায়ী বটু’তে দেবদত্তা মান্না, ‘বসন্ত পল্লবী’তে ছিল ‘কলাকেন্দ্র’র ছাত্রীরা( রোহিনী বারুই, সায়ন্তিকা রায়, রূপসা পাল, স্বস্তিকা দাস), ওড়িয়া অভিনয় ‘দেখো গো’ পরিবেশন করেন সাস্বতী সরকার, ‘নব দূর্গা’য় শ্রাবয়িতা সরকার, সৃজনা ধারা আর শ্রুতি ধারার পরিবেশন ছিল অভিনয় ‘হরি ইহ’, ‘খাম্বাজ পল্লবী’তে শ্রেয়সী সরকার, ‘শ্রিতকমলা’ অভিনয় করেন সৃঞ্জয়ী ছেত্রী এবং ‘ আমি যে দুরন্ত’ নামে একটি নৃত্য পরিবেশনা ছিল বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে। নৃত্যশিল্পীরা ছিলেন তৃষা দাস মন্ডল ও ‘পূর্ব পুটিয়ারি ওড়িশি ডান্স সেন্টার’ এর ছাত্ররা( শ্রীপর্না দাস, মিঠু সেন, দীপশিখা দাস, সমাদৃতা সরকার)।
অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছে ‘ব্রিটানিয়া নিউট্রিচয়েস’। আর যে সকল ব্যক্তিরা পাশে থেকেছেন এবং দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নৃত্যগুরু শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য। সাথে ছিলেন দেবজ্যোতি মান্না, সিদ্ধার্থ সরকার, ইমন বোস, দেববানী ছেত্রী, সৃজিতা মুখার্জী, উপাসনা ব্যনার্জী, নীলাদ্যুতি চৌধুরী, কমল বোস, ‘বেহালা মুদ্রা কলা কেন্দ্র’।
ছবি:সঞ্জয় ভট্টাচার্য