নিজস্ব প্রতিনিধি:অতিমারির ভয়,আতঙ্ক,অনিশ্চয়তা জীবনে একটা দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।লকডাউন,আনলক পর্ব ঘুরে জীবন আবার বিপন্ন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে।তা বলে কি জীবন সত্যি এভাবেই ফুরিয়ে যাবে!এ অসুখে বেশি কাছাকাছি আসা যায় না,দূরে দূরে থেকে একে অপরের সঙ্গী হতে হয়,পাশে থাকতে হয়।আমাদের এই আধুনিক সমাজে অনেক কিছুই এখন ডিজিটাল মাধ্যমে হয়ে থাকে।দূরে থেকেও এই মাধ্যমে কাছে আসা সম্ভব।এই পরিস্থিতিতে মানুষ বড় একা।সুস্থ থাকতে সুরকে অবলম্বন করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র।”সঙ্গী হোক সুর” এই বিশেষ আয়োজন শুধু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ থেকে নিলেন শিল্পী।সুরের যে মনের গহীনে প্রবেশ করে রোগ প্রশমন করার ক্ষমতা রয়েছে যাকে আমরা মিউজিক থেরাপি বলি সে বিষয়ে আমরা অনেকেই শুনেছি।তার মানে সঙ্গীত মনের ভিতরের অন্ধকারাচ্ছন্ন জগতে প্রবেশ করে আলোর দিশারি হয়ে ওঠে।তাই এই বিশ্বজোড়া মন খারাপের মাঝে সঙ্গীত সাথি হোক বিশেষ করে প্রতি মঙ্গল,বৃহস্পতি,
শনি দেবজ্যোতি মিশ্রের ফেসবুক পেজে সন্ধ্যা ৭টা থেকে।জুম মাধ্যমে থাকছেন বিশিষ্ট অতিথিরা,কথা বলছেন ভালো থাকার দিশা নিয়ে।দেবজ্যোতি মিশ্র বললেন,” সঙ্গীত নিয়ে চর্চার পাশাপাশি তার বিজ্ঞান নিয়েও চর্চা আমার বহু দিনের।এই যে আমরা বলি মিউজিকের একটা হিলিং পাওয়ার আছে,আমি বলি মিউজিকের ইউমিনিটি পাওয়ার আছে।আমার মনে হচ্ছিল পৃথিবী এখন আমার কাছে এখন একটা নতুন গান চায়না,তার থেকেও সরাসরি মানুষের সাথে কথা বলতে পারাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।গত বছরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে,খুব ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল।একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে মনে হচ্ছিল আমি নিজে এই মুহূর্তে দাড়িয়ে সমাজকে কি দিতে পারি।সেই থেকেই সুরের আশ্রয় নেওয়া।বহু মানুষ তাঁদের মতামত জানিয়েছেন প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে,আমরা গান নিয়ে আলোচনা করেছি,বিশিষ্ট অতিথিরা যেমন সুধেন্দু ব্যানার্জি,সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যের মতো ডাক্তারও যেমন ছিলেন,কুমার মুখার্জির মতো গুণী ধ্রুপদী শিল্পীও ছিলেন।” যে কোনো সুর একটা আবহ তৈরি করে।দেবজ্যোতি মিশ্র আরো বললেন,” আমি দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীতের বিজ্ঞানের দিকটা নিয়ে চর্চা করছি।সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও যুদ্ধবিধ্বস্ত পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরে একদল ইহুদি ছেলেমেয়েকে সামিল করে রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটকটি অভিনীত হয়। নাৎসি অধিগৃহীত পোল্যান্ডে ডাকঘর নাটকের উপস্থাপনা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো অনাথ শিশুদের জীবনমন্ত্রে দিক্খীত করেছিল।গানের,সুরের এই ক্ষমতা আমাদের এই যাত্রাপথের পাথেয়।অনেকেই মনে করেন মন খারাপের সময় করুণ রাগ শোনা ঠিক নয়।আমার মনে হয় যেকোনো সুরের মনের ওপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা আছে।ঠিক যেমন একটা অসুধ কাজ করে।মুষড়ে পড়া মনে ভালো থাকার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে।বশে কিছু ডাক্তারের কাছে শুনেছি তাঁরা আমার করা ‘টেগোর অন স্ট্রিংস’ অপারেশনের সময়ে চালিয়ে রাখেন।এর থেকেই সঙ্গীতের ইউমিনিটি পাওয়ারের দিকটা বোঝা যায়।সঙ্গী হোক সুর আগামী বেশ কিছু মাস ধরে চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি।সবাই সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন এই কামনা করি।”