সৌরভ দত্ত: ভারতীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষকে নিয়ে এক সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করল সুরনন্দন ভারতী গত ১৭ই মে মধুসূদন মঞ্চে। জ্ঞানপ্রকাশের লেখা ও সুরে গানের সঙ্গে জ্ঞানপ্রকাশ- এর ছবির আঁকলেন চিত্রশিল্পী সন্তু সমাদ্দার। একই সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করলেন স্নুহি চৌধুরীর ছাত্রীরা। সুরনন্দন ভারতীর গান পরিবেশন করেন জবা মুখোপাধ্যায়- এর পরিচালনায় সুর মন্দিরের ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠানে জ্ঞানতালপ্রকাশ পুরস্কার দেওয়া হয় পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে তুলে দিলেন পণ্ডিত মল্লার ঘোষ। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর ডীন অধ্যাপক গৌতম নাগকে জ্ঞানসুরপ্রকাশ পুরস্কার তুলে দেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সরোদশিল্পী অধ্যাপক অম্লান দত্ত ও সেতার শিল্পী পার্থপ্রতিম রায়কে সঙ্গীতনন্দন পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। তবলা শিল্পী পণ্ডিত বিপ্লব ভট্টাচার্যকে তালনন্দন পুরস্কার দেওয়া হয়। তবলাশ্রী পুরস্কার পান সমীর রায় চৌধুরী। সুরনন্দন ভারতীর সর্বভারতীয় সম্পাদক ঋতীশ রঞ্জন চক্রবর্তী উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। সুরনন্দন ভারতী নিবেদিত ‘রা’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা “বিলাসী তোড়ী”- র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও পণ্ডিত মল্লার ঘোষ।
পণ্ডিতজীর লেখা কবিতা পাঠ করেন সীমন্তিকা ভট্টাচার্য্য, শতরূপা ব্যানার্জী ও গৌরী মণ্ডল। ইন্দ্রাণী চক্রবর্তীর গান করেন। নিভা ব্যানার্জীর পরিচালনায় খোয়াই সঙ্গীত নিকেতনের ছাত্রীরা বিভিন্ন ধারার গান সুন্দরভাবে পরিবেশন করেন। ত্রিপুরার বিশিষ্ট শিল্পী সর্বানী দাস দত্তের পরিবেশনায় শ্রোতারা উদ্বেল হয়ে ওঠেন। ত্রিপুরার আরেক শিল্পী ভাস্বতী চক্রবর্তীর পরিবেশনা অভিনবত্ব আছে। অধ্যাপিকা শতাব্দী ব্যানার্জীর পরিচালনায় জয় গুরু এডুকেশনাল সোসাইটি গৌড়ীয় নৃত্য পরিবেশন করে। পণ্ডিত মল্লার ঘোষের পরিচালনায় এবং অংশগ্রহণে মিউজিক ফিউশন পরিবেশিত হয়। চিত্রশিল্পী সন্তু সমাদ্দারের পরিচালনায় চিত্রকলা আর্ট স্কুল এর ৮২ জন ছাত্র ছাত্রী কাপড় ও ক্যানভাসে বিভিন্ন ধরনের চিত্রশিল্প পরিবেশন করেছে। এত শিল্পী নিয়ে এ ধরণের অনুষ্ঠান অন্য মাত্রা দিয়েছে। সরোদ শিল্পী ভবানী শংকর দাশগুপ্ত রবীন্দ্রনাথের গান থেকে খাম্বাজের বন্দিশ বাজিয়ে শোনান। সুন্দর বাজনার বন্দিশটি রচনা করেছেন পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তবলা সহযোগিতায় সমীর রায়চৌধুরী অনবদ্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঋতীশ রঞ্জন চক্রবর্তী ও দেবাশীষ সরকার।