Close

সন্দেশ ১১০-ক্যালেন্ডারে সন্দেশ পত্রিকার প্রচ্ছদ, উপেন্দ্রকিশোর থেকে সন্দীপ রায় পরিবারের চার প্রজন্মের কাজ প্রকাশ করলেন সন্দীপ রায়

✍️By Ramiz Ali Ahmed

দ্যা ড্রিমার্স মিউজিক পি.আর এজেন্সি এর দশ বছরের ক্যালেন্ডারে এবার উপহার সন্দেশ পত্রিকার প্রচ্ছদ।পরিকল্পনা সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দের। সহযোগিতায় জিনিয়স কিডস্।আজ ২১ জানুয়ারি আইসিসিআর এর স্পাইসেস এন্ড সসেস ক্যাফেতে প্রকাশিত হলো এই বিশেষ ক্যালেন্ডার সন্দীপ রায় এর উপস্থিতিতে। এবছর সন্দশ পত্রিকার ১১০ বছর। সন্দেশ পত্রিকার বিবর্তন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক সন্দীপ রায়,প্রকাশক অমিতানন্দ দাশ, বিশিষ্ট আর্কাইভিস্ট দেবজিৎ বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সত্যজিৎ গবেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়,জিনিয়াস কিডস এর বিকাশ কুমার সিং,দ্যা ড্রিমার্স এর সুদীপ্ত চন্দ প্রমুখ। 

উল্লেখ্য ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর হাত ধরে এই পত্রিকার যাত্রা শুরু। ইউ. রায় এন্ড সন্স ছিল এর প্রকাশক। এর সাথে যুক্ত ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর ও তাঁর দুই পুত্র সুকুমার এবং সুবিনয়। দুবার এই পত্রিকা ছাপা বন্ধ হয়েগিয়েছিল প্রথমবার ১৯২৯, পরে ১৯৩৪। সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে পত্রিকার নতুন রূপে পথ চলা শুরু ১৯৬১ তে। সাথে সহ সম্পাদক ছিলেন বিশিষ্ট কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সত্যজিতের ছোটো গল্পের হাত ধরে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু এর মতো চরিত্রের আত্মপ্রকাশ সন্দেশের পাতায়।” বঙ্কুবাবুর বন্ধু” এর মতো গল্পও প্রকাশ পায় সন্দেশে।নব্বই এর দশকে পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সন্দীপ রায়, সাথে অমিতানন্দ দাশ।

প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছেন অনেকেই তবে রায় পরিবারের চার প্রজন্ম এতে নিয়োজিত থেকেছেন বিশেষ ভাবে। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ এবং সন্দীপ। এই ক্যালেন্ডারে এই চারজনেরই কাজকে তুলে ধরা হয়েছে। ছপাতার এই দেওয়াল ক্যালেন্ডার নিয়ে সন্দীপ রায় বললেন,” খুবই ভালো উদ্যোগ সন্দেশের ১১০ বছরকে স্মরণ করা ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে। ছোটোদের পত্রিকা বলতে সন্দেশের কথা অনস্বীকার্য।দিকপাল সব লেখকদের কাজে বছরের পর বছর সমৃদ্ধ হয়েছে এই পত্রিকা। একশো বছর পেরিয়েও এখনো প্রকাশিত হচ্ছে। এই ক্যালেন্ডারে বেশ কিছু প্রচ্ছদ ব্যবহার করা হয়েছে যা এই পত্রিকার গৌরবের দিনগুলোকে স্মরণ করায়।” উদ্যোক্তা সুদীপ্ত চন্দ বলেন, ” এই পত্রিকা আমিও পড়েছি,মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুরে পড়ার সময় আমার লেখাও প্রকাশিত হয়েছিল।আমার খুব ভালো লাগছে আমাদের সংস্থার দশ বছরে এই বিশেষ ক্যালেন্ডারটা প্রকাশ করতে পারলাম তাই।”

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top