- কলকাতার দুর্গাপুজো যা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে সেই স্বীকৃতিকেই উদযাপন করতে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের এই অনন্য উদ্যোগ। সহযোগিতায় রয়েছে খুকুমণি – সিঁদুর ও আলতা এবং ‘রিসোর্স ইন্ডিকা : মিডিয়া মুভমেন্ট ‘।
১ অক্টোবর, মহাষষ্ঠীর পুণ্যলগ্নে ‘অ্যা গ্লোয়িং ট্রিবিউট’- সোনার কয়েনটি সবার সামনে প্রকাশ করা হল।
ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপুজোকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর পেছনে যাঁদের অবদান রয়েছে সেসব কিছু নিয়েই উদযাপন করতে ‘অ্যা গ্লোয়িং ট্রিবিউট’ হল একটি মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্ট। রিসোর্স ইন্ডিকা : মিডিয়া মুভমেন্ট-এর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। এই উপলক্ষে সোনার মতো উজ্জ্বল মুহূর্তের প্রতীক হিসেবে বিশেষ সোনার কয়েন-এর উদ্বোধন হল।
সোনার কয়েনের পাশাপাশি এই প্রজেক্টের ওপর একটি চলচ্চিত্রও মুক্তি পেয়েছে।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স নিয়ে এসেছে ‘অ্যা গ্লোয়িং ট্রিবিউট’ – নামে এক বিশেষ সোনার কয়েন।
এই সম্পর্কিত ২০১৮-র কিছু সংরক্ষিত উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় দেখানো হয়।
অন্যদিকে, কলকাতা দক্ষিণের বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন-এর দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে বিশেষ সোনার কয়েন টির উদ্বোধন হয়।
এই বিশেষ উদ্যোগে ওই দুটি জনপ্রিয় পুজো কমিটিকে বাছা হয়েছে তার কারণ তারা শহরের দুপ্রান্তের উৎসবের মুখকে তুলে ধরে।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর রূপক সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চার দেওয়ালের দোকানের মধ্যে আটকে না থেকে আমাদের সংস্থা সবসময় এধরনের ভালো উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে। যা সোনার মতো সর্বদা উজ্জ্বল।’ তিনি আরো বলেন,’ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপুজোকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এর উদযাপন হিসেবে যে বিশেষ সোনার কয়েন সবার সামনে আনতে পেরেছি এটা আমাদের কাছে খুব আনন্দের ব্যাপার। এই সোনার কয়েনের মতোই উৎসবের দিনগুলো উজ্জ্বল হয়ে উঠুক।’
খুকুমণি সংস্থার ডিরেক্টর অরিত্র রায়চৌধুরী বলেন, ‘এধরনের বিশেষ প্রজেক্টের অংশ হতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি। তার প্রধান কারণ, মা দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী প্রতিমার পায়ে ও হাতে রাঙা আলতা ছাড়া তাঁরা অসম্পূর্ণ। শুধু তাই নয়, দশমীর দিন এই উৎসবের শেষ হয় গান ও নাচ সহযোগে সিঁদুর খেলা দিয়েই।’
রিসোর্স ইন্ডিকা : মিডিয়া মুভমেন্ট এর ডিরেক্টর সুদীপ সেন বলেন, ‘অ্যা গ্লোয়িং ট্রিবিউট হল একটা বড়ো প্রজেক্টের একটা অংশ। এর মধ্যে আরো কর্মকাণ্ড রয়েছে। এটা উদযাপন করা হচ্ছে ইউনেস্কোর কলকাতার দুর্গাপুজোকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে এই স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে যাঁদের অনেক অবদান রয়েছে প্রচারের আড়ালে থাকা মানুষগুলোর জন্যও এই উদযাপন।’