নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রতিবারের মত এবারেও ভারতীয় বিদ্যাভবন অয়োজন করছে নৃত্যনাট্যের উৎসব ‘নৃত্যগাথা’। দেশের তাবড় তাবড় নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করছেন এবারের উৎসবে। ৩ নভেম্বর থেকে জি ডি বিড়লা সভাগরে টানা তিনদিন চলবে এই উৎসব। কোনও টিকিটমূল্য নেই। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেশের অন্যতম নৃত্যশিল্পীদের নৃত্যনাট্য দেখার সুযোগ পাবে কলকাতার দর্শক।
প্রতিবারের মত এবারও নৃত্যশিল্পীদের তালিকায় রয়েছে বড় চমক। এবারের ‘নৃত্যগাথা’ উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ মমতা শঙ্করের “শবরী’। শবরীর জীবনগাঁথা নিয়েই মমতা শঙ্কর বানিয়েছেন এই নৃত্যনাট্য। রামায়ণের এক চরিত্র এই শবরী। তিনি রামভক্ত। ছোটবেলায় তাঁর বিয়ের কথা উঠলে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। আশ্রয় নেন মাতঙ্গ মুনির আশ্রমে। মাতঙ্গমুনিকেই শবরী গুরু মানেন। রাম ভক্তিতে ক্রমশই মজে যান শবরী। তাঁর গুরু দেহ রাখার সময় বলে যান রামের দর্শন শবরী পাবেন। কীভাবে রামের দর্শন পেলেন সেই নিয়েই মমতা শঙ্করের নৃত্যনাট্য ‘শবরী’। মিউজিক দিয়েছেন রাতুল শঙ্কর। কলকাতায় খুব বেশিবার ‘শবরী’র শো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এবারে ‘শবরী’ দেখার জন্য মুখিয়ে কলকাতার দর্শক।
মমতা শঙ্কর ছাড়াও রয়েছেন দেশের অন্যান্য গুণী নৃত্যশিল্পীরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য, পিয়াল ভট্টাচার্য, শাশ্বতী গড়াই ঘোষ, সুজাতা রামলিঙ্গমের মত প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পীরা। সকলেই নৃত্যনাট্যের ডালি সাজিয়ে পরিবেশন করবেন। সুজাতা রামলিঙ্গমের ‘থিনাই ইনাই চরম’ দিয়ে ‘নৃত্যগাথা’ উৎসবের শুরু। শাশ্বতী ঘোষের ‘রসবত’, অসীমবন্ধুর ‘মুনস্ট্রাক’, পিয়াল ভট্টাচার্যের ‘সমবৎসর কথা’ নিঃসন্দেহে এই উৎসবের অন্যতম প্রাপ্তি।
নৃত্যপ্রিয় দর্শকের কাছে ‘নৃত্যগাথা’ সত্যি এক অভূতপূর্ব পাওনা। এমন সুযোগ বড়ো একটা মেলে না। নৃত্যের ছন্দে কলকাতা গাঁথবে ‘নৃত্যগাথা’।