আনন্দ সংবাদ লাইভ :হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন দোয়া লোকাল ট্রেনে রোজ লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন।লকডাউনে দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেন নিয়ে জট খুলতে চলেছে। লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রেলকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে শনিবার রাতে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মাকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। সোনারপুরের ঘটনার দুুু সপ্তাহের ভেতর শনিবার স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে চেয়ে হাওড়া স্টেশনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেন সাধারণ যাত্রীরা। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নবান্ন থেকে রেলকে পাঠানো এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।রেলকে পাঠানো এইচিঠিতে রাজ্যে বিভিন্ন রুটে কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে হাতে গোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে এই চিঠিতে। আর পুরোটাই যাত্রীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি শুক্রবার ও শনিবার হাওড়া স্টেশনে আরপিএফের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।চিঠিতে এ ব্যাপারে নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে। এই ঘটনা ‘দুঃখজনক’ বলে জানিয়েছে রাজ্য। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এটা আমাদের নজরে এসেছে যে যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন সাধারণ মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে রেলপুলিশ। শুধুমাত্র রেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেখানে অন্য সরকারি কর্মী ও সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত।উল্লেখ্য, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্টেশনে যে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাঁর সমাধান সূত্র চেয়ে গত ১৪ অক্টোবর রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠায় পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার। একইসঙ্গে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে দ্রুত আলোচনায় বসতে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন জানায় রেল। সে সময় তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া রাজ্যের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। অবশেষে এতদিন পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লোকাল ট্রেন শর্ত সাপেক্ষে চালানোর পথে হাঁটতে চলেছে।তবে রেলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বৈঠকে বসতে পারে রাজ্য। এখন দেখা যাক রেল ও রাজ্যের মধ্যে বৈঠক কতখানি কাজে লাগতে পারে সাধারণ মানুষের।এখন দেখার,লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য রাজ্যের সঙ্গে কবর আলোচনায় বসে রইল।এ-ও দেখার যে,ওই আলোচনায় কী কী সমাধানসূত্র বেরোয় এবং তারপর কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালু করা হয়।লোকাল ট্রেন চালু হলে যেমন ডেলি প্যাসেঞ্জারদের সুবিধে তেমনি স্টেশনে এবং ট্রেনে বহু হকার এবং ছোট ব্যবসায়ীদেরও রুজি-রোজগারের সুরাহা হতে পারে।তবে নিউ নর্মালে হকার বা ছোট ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্যবসা করতে পারবেন কিনা,তাও দেখার।