নিজস্ব প্রতিনিধি:শোনা যায় সমুদ্রযাত্রা কালে তাঁর প্রথম অনুবাদের খাতাটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, দ্বিতীয় একটি খাতায় চলেছিল অনুবাদের কাজ। রবীন্দ্রনাথ প্রথম খাতাটি দিয়েছিলেন রদেনস্টাইনকে। দ্বিতীয় খাতাটি আজও অনাবিষ্কৃত। কোন নতুন রচনায়, সে খাতা ভরে উঠেছিল কোথায়, কে জানে? আলিপুর বোমার মামলায়, এজলাসে দাঁড়িয়ে, বন্দী বিপ্লবী যে গান গেয়ে উঠেছিলেন সেটিও তাঁর লেখনি।অবশ্য তখনও গীতবিতান আসেনি ।কেবল গানগুলি ধীরে ধীরে প্রস্তুত হচ্ছিল।দেশে-বিদেশে ভ্রমণকালে তাঁর লেখা পড়ে মনে হয় যে তিনি একজন আদি বাঙালি পর্যটক। এক সমুদ্র গান লিখেছেন, আর এক আকাশ কবিতা। লেখনি তার অকুতোভয়। নানকিং শহরের নারকীয় হত্যাকান্ডের পর তার কলম প্রতিবাদী । কবিতায় যেমন ব্রজবুলি ভাষার স্বর্গীয় প্রয়োগ,তেমনি ভাঙ্গা গান এবং বিদেশি গানের প্রভাবে তৈরি করেছেন নতুন গান। তাঁর লেখা, পড়তে বসা মানেই ক্রমাগত সমুদ্রের অতল গভীরে নেমে যাওয়া। সেই মধুর সাগর থেকেই দু’এক ফোঁটা কলকাতার এক ফাল্গুন সন্ধ্যায়।গানে জয়তী চক্রবর্তী। পাঠ এবং কবিতায় সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও কবি তন্ময় চক্রবর্তী।এই তিনজন নিয়েই “লিখন”,নিবেদনে এস.পি. সি ক্রাফ্ট । ২০ ফেব্রুয়ারী। শনিবার। সন্ধে ৬:৩০ টা। কলকাতার আই.সি.সি.আর অডিটোরিয়ামে।উপস্থাপনায় মৌণিতা চট্টোপাধ্যায়।