নিজস্ব প্রতিবেদক:মাটি যে শুধু মাটি নয়, তার একটা দার্শনিক এবং অন্যান্য দিকও আছে, সে সব নিয়েই গান,গল্পে এই অনুষ্ঠান “মাটির টানে মাটির গানে”, আগামী ১৩ জানুয়ারি, রোটারি সদন, সন্ধ্যা ৬ টা। নিবেদনে সোমা দাস এবং কবিতার ক্লাস।
সোমা দাস কলকাতার মেয়ে হলেও দীর্ঘদিন লন্ডনবাসী। সেখানে একটা ছোটোদের স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এক সময় গান শিখেছেন দক্ষিণী থেকে। রবীন্দ্রনাথের গানে তালিম হলেও বাংলা গানের নানা ধারার প্রতি সোমার ঝোঁক চোখে পড়ে।রবীন্দ্রনাথের গানের অ্যালবাম করেন দেবজ্যোতি মিশ্রের তত্ত্বাবধানে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রূপঙ্করের কথায়-সুরে করেন ‘একুশের গান’, জয় সরকারের সুরে করেন ‘ফিরে আসছি’। অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমেও ছিল চমক। রবীন্দ্রসঙ্গীত অ্যালবাম প্রকাশ করেন মেহবুব ব্যান্ড এর যন্ত্রীরা, আবার ফিরে আসছি সিঙ্গেলস প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন বহুরূপী শিল্পীরা। সোমার আরেক আগ্রহের দিক হল ‘স্ট্রিট মিউজিশিয়ান’। লন্ডনে পথ সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন। সেই সূত্র ধরেই ‘কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’ এর সাথে আছেন সেই শুরুর দিন থেকে, সহযোগিতায়। এই অনুষ্ঠানের জন্য সোমা ইউকে এর দ্যা মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ পান। দুবছর করোনা কালে দেশে ফিরতে পারেননি। তাই দেশে ফিরে আয়োজন করলেন এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। সঙ্গী রাজার কবিতার ক্লাস। গানে, কথায়, কবিতায় একটা সন্ধ্যা যা বিদেশে থাকাকালীন সময়ে সোমা পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর প্রিয় শহরে শীতের সন্ধ্যায় পরিবেশন করবেন বলে।গানের চয়নে শিকড়ের টান, নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে আসার বার্তা। সোমা দাস বললেন,”করোনা কালে খালি ভাবতাম কবে চেনা মানুষ গুলোর মুখ দেখতে পাবো। দুবছর পর নিজের শহরে আসলাম। যখন করোনার প্রকোপ খুব, গৃহবন্দি অবস্থায় শুধু গান,কবিতাই ছিল সব সময়ের সঙ্গী। তাই নিজের শহরে ফিরে আনন্দের মাঝে তাদেরকেই সঙ্গী করে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা। সাথে রাজাকে পাওয়া অনুষ্ঠান যে আরো পরিপূর্ণতা পাবে তা বলাই বাহুল্য।”