শেখ সিরাজ, হুগলি : হরিপালের আলমপুর- ধান্যহানা গ্রামে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কেন্দ্রে রক্তদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের পঞ্চায়েত তথা কৃষি বিপনন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন- সান্ধ্যকালীন রক্তদান হরিপাল থানায় এই প্রথম । আজ ৬ ই এপ্রিল রামনবমীর দিনে চারিদিকে যখন ধর্মীয় উন্মাদনা তখন হরিপালের এক প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের জীবন দানের জন্য এই রক্তদান শিবির একটা মহৎ কাজ। বেচারামবাবু বলেন, এই রক্তদান মহৎদান। একজনের রক্ত অপরজনকে বাঁচিয়ে তোলে। রক্তদান শরীরে ক্ষতি করে না। একজন সক্ষম ও সুস্থ ব্যক্তি বছরে চারবার রক্তদান করতে পারেন। আমাদের শরীরের এক বোতল রক্ত তিনটি মুমুর্ষ্ণু রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। রক্তদান সম্প্রীতির উদাহরণ। রক্তদানের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি সুদৃঢ় হয়। রক্তদানের মধ্য দিয়ে এক ধরনের মানুষ অন্য ধর্মকে বাঁচিয়ে তোলে। রক্ত কোন জাত ধর্ম মানে না। রামনবমীর দিনে এই রক্তদান সম্প্রীতির একটি নজির সৃষ্টি করল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সম্মানীয় অতিথি স্থানীয় বিধায়ক ডাঃ করবী মান্না, বিশিষ্ট সাংবাদিক-সাহিত্যিক নৌশাদ মল্লিক, মুরারী কর্মকার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ভাস্কর গিরি।

এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী আমানত আলিকে সংবর্ধিত করা হয় অনুষ্ঠানে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কচিকাঁচাদের সংগীত এবং আবৃত্তি পরিবেশন দর্শকদের ধন্যবাদ পায়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগিরা সংগীত, আবৃত্তি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। স্বর্গীয় রিম্পি দে স্মরণে এই রক্তদান শিবির ও সমগ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক জয়ন্ত বারিক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন চিত্রা দাস।