নিজস্ব প্রতিনিধি:বিনোদন ও ফ্যাশন জগতের নামী দামী বহু তারকাকে তো আমরা অহরহ দেখে থাকি হয় টিভির পর্দায় নয়তো মঞ্চে আর নয়তো সংবাদ মাধ্যমের বড় মুখ হিসাবে। কিন্তু এনাদের তারকা হিসাবে গড়ে তুলতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তাদের মধ্যে এক অন্যতম ভূমিকা পালন করেন রূপসজ্জা শিল্পীরা।
কিন্তু তাদের অবদান মনে রাখেন কজন! চেনেই বা কজন! খুবই স্বল্প সংখ্যক মানুষ। তাও তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের পর তারাও নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। কিন্তু সেই নামের তালিকা নাতিদীর্ঘ।
তবে এবার যাতে তাদেরও মানুষ দেখতে পায়,চিনতে পারে সেই উদ্যোগ নিল মুনমুন দাস ও তার কন্যা মোনা দাস। মোনা নিজেও একজন রূপসজ্জা শিল্পী হিসেবে মনে করেছেন তাদের এই কাজকে আর কেউ সম্মান না জানালেও তিনি এমন কিছু করবেন যাতে তার মত বা তার চেয়ে অভিজ্ঞতায় বড় শিল্পীরা নিজেদের যথাযথ মর্যাদা পান। তাই তারই উদ্যোগে ৭ই নভেম্বর, বারদেভিস্তা ক্লাবে হয়ে গেল গ্লোরিয়াস মেকাপ আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড শো।
পশ্চিমবঙ্গের নানান প্রান্ত থেকে আসা নতুন ও অভিজ্ঞ মেকআপ আর্টিস্টদের এক প্রতিযোগীতা, যেখানে বহু মডেল তাদেরই কল্পনায় ও প্রসাধনে সেজে উঠেছিলেন নানান রূপে। বিচারকের আসনে উপস্থিত ছিলেন মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০১০ উষসী সেনগুপ্ত, রূপসজ্জা শিল্পী সুরজিৎ দত্ত,অমিত কর্মকার,মৌসুমী মিত্র,কোমল শাহ। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্রী মদন মিত্র,রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিনেত্রী তৃনা সাহা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটিতে সংগীত পরিবেশন করেন সপ্তক সানাই দাস যিনি ইতিমধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অতি উত্তম’ এবং ‘X=প্রেম’ নামে দুটি ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন। বিজয়ীদের জন্য ছিল নগদ অর্থ ও বিনোদন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠার সুযোগ।
অনুষ্ঠানটিতে সহযোগীতায় ছিল “বি বনি” ও “আর্টল্যান্ড”। বিশেষ সহায়তায় ছিলেন সংগীত শিল্পী ও ইভেন্ট তত্ত্বাবধানকারী শুভব্রত বিশ্বাস।