Close

“মেইনস্ট্রিম”-এর চড়ুইভাতি

অমিতাভ-মালবিকা

গোপাল দেবনাথ : শীতকাল চলে এলেই মনের মধ্যে একটু উড়ু উড়ু ভাব চলে আসে। মনে হয় বন্ধু আত্মীয় পরিজন নিয়ে দূরে একটু কোথাও গিয়ে একসাথে সারাদিন ধরে হৈ চৈ খাওয়া দাওয়া গান নাচ হলে তো আর কোনো কথা নেই। আনন্দই আনন্দ। করোনা অতিমারীর কারণে বহু মানুষ ভেবে ছিলেন এই বছর আর পিকনিক পার্টি আয়োজন করা সম্ভবপর হবে না। অবশেষে মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। পিকনিক হচ্ছে চারিদিকে। এমনই পিকনিক এর আয়োজন করেছিলেন “মেইনস্ট্রিম” নামে অভিনয় শিক্ষন সংস্থা। দক্ষিণ কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালের পিছন দিকে পূর্ব কলিকাতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি পরিচালিত বিশালাকার জলাশয় এর ধারে এই পিকনিক এর আয়োজন করেন। এই মেইনস্ট্রিম সংস্থার কর্ণধার হলেন বিশিষ্ট অভিনেতা অমিতাভ গাঙ্গুলি এবং রূপ বিশেষজ্ঞ মালবিকা গাঙ্গুলি। প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় একশজন এই পিকনিকে সামিল হয়েছিলেন। সকাল থেকেই খাওয়া দাওয়া ভুরিভোজ নাচ গান আবৃত্তিতে ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেই অংশগ্রহণ করেন। অমিতাভ ও মালবিকা র কাছ থেকে জানা গেল এই আনন্দ অনুষ্ঠানে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৫০জন তাদের মেইনস্ট্রিম সংস্থার ছাত্র-ছাত্রী। অমিতাভ ও মালবিকার সন্তান সম এই মেইনস্ট্রিম সংস্হা। এই সংস্থায় অতি অল্প খরচে শেখানো হয় অভিনয়, মডেলিং, মেকআপ, ভয়েস সহ বহু কিছু। এদের উদ্দেশ্য সব দিক থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করে দেওয়া। এদের কোর্স আছে ২ মাস, ৪ মাস ও ৬ মাসের। ফি দেওয়ার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। মেইন স্ট্রিম সংস্থার বয়স মাত্র পাঁচ বছর কিন্তু এর মধ্যেই  যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। এই সংস্থায় শিক্ষা গ্রহন করে বহু মানুষ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। অমিতাভ বলেন আমরা প্রতিবছর সকল ছাত্র- ছাত্রী এবং অভিভাবকদের নিয়ে এই বার্ষিক পিকনিক বা বনভোজনের আয়োজন করে থাকি। এই বছর খুবই চিন্তায় ছিলাম আদৌ এই পিকনিকের আয়োজন যাবে কি না, অবশেষে আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সকলে মিলে একসাথে আনন্দ করে খুবই তৃপ্ত বোধ করছি বলে জানালেন মালবিকা ও অমিতাভ গাঙ্গুলি।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top