নিজস্ব প্রতিনিধি:বিশিষ্ট অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সুরজিৎ কালা সপ্তম জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস উপলক্ষে মুর্শিদাবাদের চোদ্দজন তাঁত শিল্পীদের জন প্রতি একলক্ষ টাকার দুর্ঘটনা জনিত বীমার শংসাপত্র তুলে দিলেন।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিম হায়দার, চেয়ারম্যান, রোটারি বেলডাঙা চক্ষু হাসপাতাল।মিরজাপুরের মিনি বাজার অঞ্চলে এই দিনে উপস্থিত সব তাঁতশিল্পী তাঁদের তৈরি জিনিস প্রদর্শনও করেন।সম্প্রতি করোনা আবহে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।মুর্শিদাবাদ প্রসিদ্ধ তার তসর, সিল্কের কাপড়ের জন্য।এই শিল্পে শ্রম বেশি লাগে।হাতে বুননের কাজে সময়ও লাগে বেশি।এই শিল্পীদের সম্মান দেওয়ায় উদ্যোগী হলেন সুরজিৎ কালা। তিনি জানান,” এই ধরনের সূক্ষ কাজ যাঁরা কাপড়ে ফুটিয়ে তোলেন,সেই সব শিল্পীদের প্রকৃত যা প্রাপ্য সম্মান তা তাঁরা অনেক সময়েই পাননা।জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসে তেমনই চোদ্দজনকে এই সম্মান দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস ২০১৫ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম উদ্বোধন করেছিলেন। এটি তাঁতি এবং এই শিল্পের সাথে যুক্ত অন্যান্যদের প্রচারের জন্য এক অন্যরকম উদ্যোগ।বঙ্গভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে স্বদেশী আন্দোলন শক্তিবৃদ্ধি করতে শুরু করে। ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট কলকাতা টাউন হলে বিদেশী পণ্য বর্জন এবং ভারতীয় তৈরি পণ্যের উপর নির্ভর করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় এক শতাব্দীরও বেশি পরে, ২০১৫ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের উদ্বোধন করেছিলেন।
তাঁত কি?
তামিলনাড়ুর বিখ্যাত কাঞ্চিপুরম শাড়ি হোক বা আসামের মুগা (সোনালি সিল্ক) মেখলা স্যাডার, মহারাষ্ট্রের পাইথানি তাঁত বা উত্তর প্রদেশের বেনারসি ব্রোকেড, ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং ব্যাপক বয়ন শিল্প রয়েছে।
যদিও হ্যান্ডলুম (উৎপাদন রিজার্ভেশন অ্যান্ড আর্টিকেলস ফর প্রোডাকশন) অ্যাক্ট, ১৯৮৫ থেকে শব্দটির বিভিন্ন সংজ্ঞা ব্যাক্ত হয়েছে, যেখানে ‘হ্যান্ডলুম’ মানে “পাওয়ারলুম ব্যতীত অন্য কোন তাঁত”, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি আরও পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১২ সালে, একটি নতুন সংজ্ঞা প্রস্তাব করা হয়েছিল: “তাঁত মানে পাওয়ারলুম ছাড়া অন্য যে কোন তাঁত; এবং এমন কোন হাইব্রিড তাঁত রয়েছে যার উপর বুননের অন্তত একটি প্রক্রিয়ায় উৎপাদনের জন্য মানুষের হাতের বুনন
বা মানব শক্তির প্রয়োজন হয়।