নিজস্ব প্রতিনিধি:ভালোবাসা নাকি স্বার্থ ? প্রয়োজন নাকি প্রিয়জন ? প্রশ্নগুলো গুলো ভারী সহজ কিন্তু এর উত্তর কি আমাদের জানা আছে? ভালোবাসা কখনো কখনো এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়, যেখানে শুধু দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
অরিত্র আর মৌ এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। সুখ দুঃখের সংসারে পকেটে টান থাকলেও একে অন্যের প্রতি হৃদয়ের টান প্রবল। আরো ‘ভালো’ থাকার স্বপ্নে বিভোর অরিত্রের পাশে থাকার চেষ্টায় নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত মৌ।
রোজকার এই ভীষণ চেনা দাম্পত্য হঠাৎ করে এক নতুন মোড় নেয় , যখন শান্তনু নামের মূল চরিত্রটি প্রবেশ করে এই জোড়া হৃদয়ের সংসারে। অরিত্র-মৌ এর দৈনন্দিন সব সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি নিয়ে মৌ এর সাথে দেখা করেন এই নতুন চরিত্রটি। এতোদিন ধরে যে আশা আর স্বপ্ন কে অরিত্র মরীচিকা ভেবে দগ্ধে দগ্ধে ক্ষয়ে যাচ্ছিলো , সেই আশাকেই সত্যি করতে অরিত্রর সামনে নিয়ে আসা হয় শুধু “একটি রাত” এর শর্ত। নিজের বৌকে অন্যের বিছানায় পাঠানোর মধ্যেই লুকিয়ে আগামীর ভালো থাকা। থমকে যায় অরিত্র আর মৌ , নিজেকে – আর একে অন্য কে বোঝানোর চেষ্টা চলে প্রানপন। অবশেষে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয় দুজনকেই । নিজেদের সুখী ভবিষ্যতের স্বপ্ন কে আলোকময় করতে এক রাতের অন্ধকার কে শরীরে জড়িয়ে নিতে রাজি হয় মৌ। শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষ কে ভালো রাখতেই তার এই ত্যাগ ।রাতের আঁধারে পায়ে পায়ে মৌ কে শান্তনু বাবুর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে শূন্য ঘরে ফেরে অরিত্র। প্রহর গুনে কাটে রাত,উৎকণ্ঠায় শান্তনু বাবুর ঘরে ঢোকে মৌ।রাত পেরিয়ে আসে সকাল , অরিত্রর সামনে এসে দাঁড়ায় মৌ , নির্বাক চারচোখ যেন খড়কুটোর মতো ভেসে যাওয়া দাম্পত্যের স্মৃতি চারণ করতে চায়। মৌ কি অটুট রাখতে পেরেছে তার সতীত্ব ?
মৌ আর অরিত্রর সুখী দাম্পত্যে কি খানিক চিড় খেয়ে গেছে? সেই দাগ মুছবে তো ? এর উত্তরের জন্য শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিছু দিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে সন্তু সিনহা পরিচালিত ” অনুরাগ ” ছায়াছবি। এই ছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সন্তু সিনহা নিজেই।
অভিনয় করেছেন দেবদূত ঘোষ,আনন্দ শঙ্কর চৌধুরী এবং প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য।