গোপাল দেবনাথ :বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও বাঙালি হৃদয় প্রিয় দুর্গোৎসব এর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বছরের মাত্র কয়েকদিন আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠার জন্য সারা বছর ধরে প্রস্তুতি নেয় বিশ্বের আম বাঙালি।বিশ্বাস মা দুর্গা মর্তে আসবেন ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূর্ণ করতে। এই বছর ভক্তদের মনবাঞ্ছা কতটা পূরণ হবে সেটা সময়ই বলবে। যদিও এই বছর দুর্গা পুজো হবে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে। মহালয়া হবে ১৭ই সেপ্টেম্বর। অন্যান্য বছর এই সময়ে বহু জায়গাতেই পুজোর প্যান্ডেল বাধার কাজ অনেকটা এগিয়ে যায়। করোনার কারণে আমাদের দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও ইতিমধ্যে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, সকলের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। স্কুল, অফিস ও ব্যবসা বন্ধের কারণে বহু মানুষের রুটি রুজি চলে গেছে। মানুষ আদৌ বেঁচে থেকে দুর্গা পুজো দেখতে পাবে কি না সেই নিয়েই আম জনতা চিন্তিত। এত কিছু সমস্যা কে মাথায় রেখে আজ বেলেঘাটা সন্ধানী সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটি পবিত্র খুঁটি পুজোর আয়োজন করে। এই খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের মাননীয় বিধায়ক শ্রী পরেশ পাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৩ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান শ্রী অনিন্দ্য কিশোর রাউৎ, চিত্রশিল্পী শ্রী আশীষ রহমান, সমাজসেবী শ্রী অনুতোষ দত্ত, ডাঃ অচিন্ত্য ভট্টাচার্য, পুরপিতা শ্রী পবিত্র বিশ্বাস, অভিনেতা শ্রী ঋদ্ধি সেন, ক্লাব সেক্রেটারি শ্রী সন্দীপ ঘোষ এবং ক্লাব সভাপতি শ্রী বাপি সাহা। সকল বক্তাদের মনে বিশ্বাস দুর্গা পুজোর সময় করোনা মহামারী বিদায় নেবে। সাধারণ মানুষ শান্তি মনে দেবী দর্শন করতে পারবে। দুর্গোৎসবের এই খুঁটি পুজোর উৎসব কে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল নজরকাড়া। বেলেঘাটা সন্ধানী আয়োজিত এই বছরের পুজো ৫১ তম বর্ষে পদার্পন করলো। এবারের ভাবনা “অস্তিত্ব” ভাবনার দায়িত্বে আছেন শ্রী বিশ্বরঞ্জন রাজ। মায়ের প্রতিমা রূপদান করবেন সৌমেন পাল। সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেল সরকারি সবরকম বিধি নিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করা হবে। স্যানিটাইজার টানেল এর মধ্যে দিয়ে দর্শকদের প্রবেশ করতে হবে, মাস্ক আবশ্যিক। এই পুজো যেহেতু ১২০ ফুট চওড়া রাস্তার উপরে হয় সেই কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কোনো সমস্যা হয়না। আর তা ছাড়া বেলেঘাটা থানা ও কলকাতা পুলিশের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।